শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

রাজবাড়ীতে প্রবাসী স্বামীর নির্দেশে স্ত্রীকে হত্যা একনলা বন্দুকসহ ৪ ভাড়াটে হত্যাকারী গ্রেফতার

মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ীঃরাজবাড়ীর পাংশায় প্রবাসী স্বামীর নির্দেশনায় স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় একটি একনলা বন্ধুকসহ ৪ ভাড়াটে হত্যাকারী সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, পাংশা উপজেলার নাওড়া বনগ্রাম (নতুনপাড়া) গ্রামের মৃত শশধর বিশ্বাসের ছেলে তুষার বিশ্বাস (৪২), নিভা গ্রামের মৃত ছাদেক আলী মন্ডলের ছেলে হারেজ আলী মন্ডল (৩৮), কামাল মন্ডলের ছেলে তুহিন মন্ডল (২০), চৌরাপাড়া গ্রামের মোঃ সুরোত আলী শেখের ছেলে মোঃ হারুন অর রশিদ ওরফে সুজন (২৪)।
বুধবার রাতে পাংশা উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারী রাত অনুমান ১১ টার সময় পাংশার পাট্রা ইউনিয়নের বাসিন্দা রোজিনা ওরফে আরজিনাকে তার বসত বাড়ী থেকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে বাড়ীর দক্ষিণপাশে উসমান মোল্লার বাশবাগানে এনে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনার পর পাংশা মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মামলাটি দায়েরের পর রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ, পিপিএমের সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহার সার্বিক তদারকিতে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদারের নেতৃত্বে এসআই দিপঙ্কর কুণ্ডু সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ চাঞ্চল্যকর রোজিনা ওরফে আরজিনা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেন। মুলত গৃহবধু রোজিনার স্বামী মোঃ লিটন শেখ সৌদি প্রবাসী। তার স্ত্রীর সাথে সাংসারিক ঝামেলার কারণে দেশে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে হত্যার পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করে।
এ ঘটনার সহিত জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তারের বুধবার পাংশা থানা এলাকায় এক সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আসামী তুষার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। তুষারকে গ্রেপ্তার করলে সে আসামী হারেজ আলী মন্ডল, তুহিন মন্ডল, হারুন অর রশিদ ওরফে সুজন মন্ডলসহ আরো কয়েক জনের নাম এবং ঘটনার পরিকল্পনা ও ঘটনার প্রবাহ বর্ণনা করেন। পরে আসামী হারেজ আলী মন্ডল, তুহিন মন্ডল, মোঃ হারুন অর রশিদ ওরফে সুজনদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসামী হারেজ মন্ডল স্বীকার করে যে, রোজিনা ওরফে আরজিনাকে হত্যার পূর্বে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাকে তার বাড়ী থেকে ঘটনাস্থলে আনার সময় ব্যবহৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাংশা থানার নিভা গ্রামের আঃ মালেক সরদারের বাগানে থাকা মোঃ রুস্তম বিশ্বাসের খড়ের পালার মধ্যে লুকিয়ে রেখেছে। আসামী হারেজ মন্ডল নিজ হাতে খড়ের পলার মধ্যে থেকে একটি দেশীয় তৈরি কাঠের বাটযুক্ত একনলা বন্দুক বের করে দেয়।

পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, এ ব্যাপারে পাংশা থানায় একটি পৃথক অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত