রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃরাজবাড়ী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শূন্য পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মুকিত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন- জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের নতুনচর গ্রামের বেলায়েত হুসাইনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে লিটন (৪৪), বরিশাল জেলার ভোলা সদর থানার মেদুয়া গ্রামের সামছল হক খানের ছেলে মো. আমান উল্লাহ (৩২), কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চর নারায়নপুর গ্রামের আঃ রহিম মন্ডলের ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম (৩৯)।
এএসপি মুকিত সরকার জানান, গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শূন্য পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করে ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে লিটন, মো. আমান উল্লাহ, মো. আমিরুল ইসলামকে রাজবাড়ী সদর থানার সিঙ্গার মোড় এলাকায় আবাসিক হোটেল ৭১ -এর নিচ তলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, আসামিদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রার্থীর নিকট থেকে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য গ্রহণ করা নগদ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি ব্যাংক চেকের পাতা এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস করে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে একজনের পরীক্ষা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য জনকে দ্বারা দেওয়ায় এবং ইতিপূর্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে ও প্রতারণামূলকভাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৭ জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় গত ৩১ মার্চ মামলা করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।