রাজবাড়ীতে চাকুরীর প্রলোভনে প্রতারনা কালে ২ প্রতারক গ্রেপ্তার

মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ীঃরাজবাড়ী সহ সারা দেশে বাংলাদেশ পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসার ভিডিপি, মন্ত্রানালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে, বিভিন্ন সরকারী, বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারনা করে অসহায় চাকুরী প্রার্থীদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, রাজবাড়ী সদর উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের তাহের মন্ডলের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩৬), নওগা জেলার পোরশা থানার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত আকিমুদ্দিনের ছেলে মোঃ আবু তাহের ওরফে ফয়সাল (৪২)।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ।

প্রতারক মোঃ আবু তাহের ওরফে ফয়সাল বলেন, মূলত পরিসংখ্যান অধিদপ্তরে চাকুরীর জন্য টাকা দিয়ে প্রতারনার শিকার হয়ে এ প্রতারনায় জড়িয়ে পড়ে। তারা বিভিন্ন চাকুরীর কথা বলে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান খানের নেতৃত্বে একটি টিম শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজবাড়ী এবং ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসার ভিডিপি, মন্ত্রানালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে, বিভিন্ন সরকারী, বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারনা করে অসহায় চাকুরি প্রার্থীদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, প্রতারকদের নিকট থেকে বিভিন্ন চাকুরী প্রত্যাশীদের নিকট থেকে চাকুরী প্রত্যাশীদের ৫৩ টি সিভি, ১৩ টি ভূয়া নিয়োগপত্র, চাকুরী প্রত্যাশীদের ৭ টি ব্যাংক চেক, আসামীদের ব্যবহৃত ৩ টি মোবাইল ফোন, ৯ টি স্বাক্ষরিত নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প, তাদের ভূয়া আইডি ও ভিজিটিং কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ৫ টি, ব্যাংক এটিম কার্ড ৩ টি, সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন চাকুরীর বিজ্ঞাপন, প্রতারনার বিবরণ লেখা ডায়রী উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, প্রতারক চক্র বিভিন্ন এলাকার চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যবহৃত মোবাইল ফোন যাচাই করে প্রতারনার বিভিন্ন ডকুমেন্ট, চ্যাটিং এবং অডিও ক্লিপ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপস) মোঃ রেজাউল হক, পি আই ও ১ বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান খান সহ ঊর্ধ্বজন কর্তৃপক্ষ দেখছিলাম।