মঙ্গলবার, ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
মঙ্গলবার, ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

রাজবাড়ীতে কার্ড রেখে চাউল শেষ বলে উপকারভোগীদের তাড়িয়ে দিলেন চেয়ারম্যান

রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃরাজবাড়ীতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের উপকারভোগী হতদরিদ্র ১৬৮৩ জান কার্ড দারিদ্রদের মাঝে সরকারের দেওয়া বিজিএফ ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়।

তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে অর্ধশত উপকারভুগি হতদরিদ্র কার্ডধারীদের ভিজিএফের চাউল না দিয়ে পরিষদ থেকে বেড় করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও চেয়ারম্যান বলছে কার্ড না থাকা শতাধিক অসহায় কে চাউল দেওয়ায় ফুরিয়ে গেছে  চাউল। যারা চাউল পায়নি নাম লেখে রাখা হয়েছে পরবর্তীতে চাউল দেওয়া হবে।

যদিও নিয়ম অনুযায়ী ভিজিএফ কার্ডের মাস্টার রোল তৈরি না করে নিজেদের তৈরি মনগড়া কাগজে নাম লিখে চাউল বিতরণ করার কোন সুযোগ নেই।

মৌরাট ইউনিয়নের বড় চৌবাড়ীয়া গ্রামের বিধবা আলেয়া বেগম আক্ষেপ করে বলেন, গরমের মধ্যে রোজা থেকে দুপুর ২টার দিকে কার্ড নিয়ে গেছিলাম। চেয়ারম্যান কার্ড রেখে আমাকে বেড় করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন আর চাউল নাই। সময় মতো না আসলে চাউল থাকে।

মৌরাট ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ভ্যানচালক নাছির বলেন, কাজ শেষ করে ৩ টার দিকে চাউল আনতে গেছিলাম। আমার সাথে আরও ৩ জন ছিল। চাউল আর নাই বলে আমাদের কার্ড রেখে চলে যেতে বলেন চেয়ারম্যান।

মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সকাল থেকে চাউল দেওয়া শুরু করছিলাম। কার্ড না থাকা শতাধিক অসহায় কে চাউল দেওয়ায় চাউল ফুরিয়ে গেছে। এর ফলে ৪ টার পরে যারা আসছে তারা চাউল পায়নি। কার্ড রেখে দিয়েছি। নিজের থেকে চাউল কিনে দিয়ে দেব।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। তবে চাউল ফুরিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। চেয়ারম্যানের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী চাউল বরাদ্দ হয়। প্রকৃত কার্ড ধারীরাই চাউল পাবে।

সম্পর্কিত