রিপন ইসলাম প্রতিনিধিঃ
রংপুর আইডিয়াল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজির সাবেক কর্মচারী ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেয়ায় অফিস ভাংচুর, মুল্যবান দলিলপত্র তছনছ ও সোয়া লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে কোতায়ালী থানায় মামলা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা আবু হেনা মো: মোস্তফা কামাল।
আরপিএমপি কোতয়ালী থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থকে প্রতিষ্ঠানটির বেতন ভুক্ত কর্মচারির দায়িত্ব পালন করছিলেন ফেরদৌস আলম। এই সুবাধে তিনি বিভিন্ন স্থানে কখনও নিজেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান, কখনও পরিচালক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরণের আর্থিকসহ নানাবিধ অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারি করে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন করতে থাকে। একারণে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। চাকরি থেকে অব্যাহতি পেয়ে তিনি বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি করার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে গত ১ নভেম্বর সন্ধায় ফেরদৌস আলম, তার স্ত্রী সুমনা আক্তারসহ ৫/৬জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী আমার প্রতিষ্ঠানে এসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় তারা অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে আমিসহ আমার স্টাফরা বাঁধা দিলে তারা আমাদের কিলঘুষিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা আমার ফাইল কেবিনেটের ড্রায়ারে থাকা ফরম ফিলাপের ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৫০ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এছাড়াও তারা ধারালো অস্ত্রে ঠেকিয়ে অফিসের মুল্যবান দলিলপত্র তছনছ করে ও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা হুমকিদিয়ে বলে বিষয়টি কাউকে বললে আমার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে জেলের ভাত খাওয়াবে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিতে চরম আতংক বিরাজ করছে।
রংপুর আইডিয়াল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজির এক কর্মচারী বলেন যে, ফেরদৌস আলম কর্মরত থাকাকালিন সময় তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠানের মালিকের নিকটতম আতিœয়তার সুযোগ নিয়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটিতে নিজের ইচ্ছামত নিজেকে পরিচয় দিয়ে থাকতেন। এমনকি তিনি এই প্রতিষ্ঠানটিতে তার পরিচিত জন এই প্রতিষ্ঠানে আসলে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠানটির বড় বড় পরিচয় দিতেন। তার চাকুরী থাকাকালিন সময় অনেক মানুষকে তার কলেজে চাকুরী দেয়ার কথা বলে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। দীর্ঘ দিনে তাদেকে চাকুরী দিতে না পারায় ভূক্তভুগিরা অভিযোগ করেন মালিককে।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ জানান, বিষয়টি জানিয়ে আবু হেনা মো: মোস্তফা কামালা ১৪নভেম্বর একটি মামলা করেছেন। মামলা নং ২০। মামলার পর ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।