নিউজ ডেস্ক : এমনিতেই কোন খাবার কখন, কীভাবে, কতটুকু খেলে ঠিক হবে; কোন খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে নানা ধরনের ভাবনা থাকে আমাদের।
এরপর আবার কোনো কোনো খাবার নিয়ে এত বেশি মতামত থাকে যে, কোনটি ঠিক আর কোনটি ঠিক নয় তা ভাবতে ভাবতেই সময় চলে যায়। এই যেমন ধরুন ফল। ফল একটি উপকারী খাবার এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু এটি কখন খাওয়া যাবে, কখন যাবে না, কখন খেলে উপকার পাওয়া যাবে না, এ নিয়ে নানা মতামত। তার সবগুলো যে সঠিক, তা কিন্তু নয়। ফল খাওয়া সম্পর্কে কিছু ধারণা রয়েছে, যা আসলে সঠিক নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
দুগ্ধজাত খাবারের সাথে ফল মেশানো
আয়ুর্বেদ অনুসারে, ফলের অ্যাসিডিক প্রকৃতি দুগ্ধের ক্ষারত্বের সাথে দ্বন্দ্ব করে, যা শরীরের বিপাক এবং হজম ব্যাহত করতে পারে। ভারতীয় পুষ্টিবিদ মোহিতা ব্যাখ্যা করেছেন যে, এই দাবির সমর্থনে সীমিত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে। বাস্তবে, অনেক ব্যক্তি প্রতিকূল প্রভাবের সম্মুখীন না হয়ে একসঙ্গে ফল এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ফল এবং দুগ্ধজাত খাবারের সামঞ্জস্য ব্যক্তিগত সহনশীলতা এবং পছন্দের ওপর নির্ভর করে।
খাবারের সঙ্গে ফল এড়িয়ে চলা
আয়ুর্বেদ পরামর্শ দেয় যে যেহেতু ফলগুলো দ্রুত হজম হয়, সেহেতু এগুলো ধীর-হজমকারী খাবারের সঙ্গে যুক্ত করলে গাঁজন এবং হজমের অস্বস্তির ঝুঁকি বাড়তে পারে। মোহিতা স্পষ্ট করেছেন যে, এই দাবির সমর্থনে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই। খাবারের সঙ্গে ফল যোগ করলে তা পুষ্টির পরিমাণে বৈচিত্র্য আনতে পারে এবং সামগ্রিক খাদ্যের গুণমানকে উন্নত করতে পারে।
সূর্যাস্তের পরে ফল এড়িয়ে চলা
একটি বিশ্বাস আছে যে, সন্ধ্যায় ফল খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি পায়। সেইসঙ্গে ঘুম এবং ওজন কমানোর প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে। মোহিতা স্পষ্ট করেছেন যে, এই ধারণাকে সমর্থন করে এমন কোনো শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। সামগ্রিক খাদ্যতালিকাগত ভারসাম্য এবং সারাদিন ক্যালোরি গ্রহণ করার কারণে তা সন্ধ্যার পর ফল খাওয়ার চেয়ে ওজন এবং ঘুমের ওপর আরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।