রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

মুহাম্মদপুর ইউনিয়নে”লাইন লোগো পার্চিং”পদ্ধতিতে বোরো ধান রোপন শুরু

মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে”লাইন লোগো পার্চিং “পদ্ধতিতে বোরো ধান রোপণ শুরু।

স্টাফ রিপোর্টার,মোঃ গোলাম মোরশেদ:শীতের তীব্রতা কমে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো ধান রোপণ শুরু করেছেন। ধান উৎপাদনে সহজে বাস্তবায়ন করা সম্ভব এমন একটি কৃষি প্রযুক্তি হলো “লাইন লোগো পার্চিং ” পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত জানান, বহরমপুর ব্লক এর উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা জনাব, মোঃ মমিনুল ইসলাম (মুমিন)

বোরো মওসুমে ধানের চারা রোপণের সময় উত্তর-দক্ষিণ দিক মুখ করে চারা রোপণ করতে হবে। চারা থেকে চারার দূরত্ব হবে ৬-৭ ইঞ্চি। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬-৮ ইঞ্চি রাখতে হবে।
সারিগুলো অবশ্যই রশি/দড়ি সোজা করতে হবে।
১০ থেকে ১২ লাইন ধানের চারা রোপণ করার পর এক লাইন ফাঁকা রাখতে হবে। ধান রোপনের ২/৩দিন পর প্রতি বিঘা জমিতে ৬/৭টি কঞ্চি বা ডাল পুঁতে পাখি বসার স্হান করে দিতে হবে।
লাইন লোগো পার্চিং পদ্ধতিতে চারা লাইনে রোপনের উপকারিতা ও সুবিধা।
১. এলোমেলো ভাবে চারা রোপনের তুলনায় লাইনে চারা রোপন করলে গুছির সংখ্যা বেশি লাগে। ফলে ফলন বৃদ্ধি পায়।
২. লাইনে চারা রোপন করলে ইঁদুরের আক্রমণ তুলনামূলক কম হয়।
৩. লাইন/সারি করে চারা লাগালে নিড়ানি দিতে সুবিধা হয়।
৪. নিড়ানি যন্ত্র ব্যবহার করে খুব সহজেই জমি আগাছামুক্ত করা যায় এবং খরচও কম হয়ে থাকে।
৫. লাইন/সারি করে চারা লাগালে গাছ পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো ও বাতাস পেয়ে থাকে। ফলে গাছের সালোকসংশ্লেষণে সুবিধা হয়।
৬. সার প্রয়োগ করতে সুবিধা হয়।
৭. বালাইনাশক স্প্রে করতে সুবিধা হয়।
৮. কঞ্চি, ডালে বসে পাখি মাজরা পোকার মথ খেয়ে ফসল রক্ষা করে।
৮. বিপিএইচ/ কারেন্ট পোকা আক্রমন হলে সহজে দমন করা যায়, যা এলো মেলো চারাতে দমন সম্ভব না।
৯. লাইন/সারি করে রোপন কৃত জমিতে তুলনামুলকভাবে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়।

১০. এলোমেলো জমিতে ভ্যাপসা পরিবেশে পোকামাকড় বাসা বাঁধে কিন্তু লাইনে রোপন কৃত জমিতে আলোবাতাস চলাচল করে বিধায় পোকামাকড় বাসা বাঁধতে পারে না।
লাইনে ধানের চারা রোপন করলে ফলন অনেক বৃদ্ধি পাবে।

সম্পর্কিত