নিউজ ডেস্কঃ
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে তার জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সময় আবেদন করেন। সময় আবেদনে বলা হয়, মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু অসুস্থ। তাই আজ শুনানি স্থগিত করা হোক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানে তার বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করেপরের দিন তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।নথিপত্রে দেখা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্বঘোষিত সাধারণ সভায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেলসহ বিভিন্ন ঘাতক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবৈধভাবে অবস্থান নেয়। সামনে সমাবেশপ্রধান বিচারপতির বাস ভবনে গিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন এবং মিছিল করতে থাকেন। এ সময় তারা বৈশাখী পরিবহনের বাসসহ বেশ কয়েকটি বাস ও পিকআপ ভাংচুর করে এবং প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। বিএনপি ওএর সহযোগীরা জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে, পুলিশকে বাধা দেওয়ার ও হত্যা করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্যদের আহত করে।
ফখরুল ছাড়াও এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল মো. (অব.)আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।