জাকির হোসেন সনি,স্টাফ রিপোর্টারঃচাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সৃস্ট জটিলতায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারী দুপুরে রহনপুর ঘরনি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আসামী উমর আলীর স্ত্রী আরমানি বেগম।এ সময় তার সাথে ছিলেন নিকটাত্মীয় টিয়া বেগম।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরমানি বেগম বলেন,কিছুদিন আগে চৌডালা ইউনিয়নের জনৈক আনারুল ইসলাম গোমস্তাপুর থানায় আমার স্বামী উমর আলী সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগ করে।এই অভিযোগের তদন্তে গিয়ে গোমস্তাপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম আমার স্বামীর নিকট দুই দফায় ২০ হাজার টাকা আদায় করে।পরবর্তীতে উক্ত সাব ইন্সপেক্টর আমার স্বামীর কাছে আরও টাকা চাইলে আমার স্বামী দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি আনারুলের বন্ধু আজিজকে দিয়ে গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করান।এই মামলায় আমার স্বামী সহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।গত ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম আমাদের বাসায় গিয়ে কোন পুরুষ মানুষ না পেয়ে মহিলাদের সাথে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেন।তিনি গালিগালাজ করে বলেন, উমরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেফতার করা হবে।আরমানী বেগম এই মামলাকে মিথ্যা বলে দাবী করেন।তিনি সুবিচারের আশায় সংবাদ সম্মেলন করছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ প্রসঙ্গে সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।তিনি বলেন,তিনি বাদীর মাধ্যমে মামলা পেয়েছেন তাই তিনি তদন্ত করছেন।আসামিদের অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ বলেন,আসামিপক্ষ আমার সাথে আগে যোগাযোগ করলে হয়তো বিষয়টি নিয়ে আমি সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে পারতাম।তবে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিয়ে যাচাই-বাছাই করবেন বলে জানান।
আসামিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।