সোমবার, ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
সোমবার, ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

মহাদেবপুরে বিয়ের দাবিতে দেবরের বাড়িতে ভাবির অনশন

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু,নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁর মহাদেবপুর সদর ইউপির তেলিহার গ্রামে বিয়ের দাবিতে দেবরের বাড়িতে ভাবির অনশন।ভাবি বাড়িতে অবস্থান নিলে প্রেমিক দেবর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধা থেকে উপজেলার সদর ইউপির তেলিহার গ্রামের শ্রী শচীন এর ছেলে প্রেমিক শ্রী অরুন কুমার (৩০) এর বাড়িতে উপজেলার সদর ইউপির তেলিহার গ্রামের শ্রী দুলাল এর স্ত্রী শ্রীমতি সাথী (২৭) অবস্থান নেন।
সরেজমিনে গিয়ে যানা যায়,উপজেলার হাতুর ইউপির শামপুর দেওয়া গ্রামের শ্রী সুরেশ এর দ্বিতীয় কন্যার সাথে সদর ইউপির তেলিহার গ্রামের জতিশ চন্দ্রের সাথে ২০১৪ সালে বিবাহ হয়। তাদের বিবাহিত জীবনে একটি ৯ বছরের পুত্র সন্তান আছে। প্রেমিক- প্রেমিকা সম্পর্কে দেবর ভাবি। এই বিষয়ে গ্রামবাসি অনেক বার প্রেমিক অরুন কুমার কে বাধানিষেধ করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান,আমার বিয়ের পর থেকে আমাদের বাড়িতে তার আসা যাওয়া।গত ২ বছর থেকে আমার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের ফাঁদে ফেলে দেবর অরুন কুমার আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।সম্প্রীতি গ্রামবাসী এবং তার স্বামী বিষয়টি জেনে যায়।এতে তার পরিবারে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এখন দেবর প্রমিক অরুণ কুমার সম্পর্ক অস্বীকার ও বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়েই তার বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন।কিছুদিন আগে প্রেমিক দেবর অরুন বিয়ে করার আশ্বাস দিলেও এখন সেই সম্পর্ক অস্বীকার করছে।আমাকে দেবর অরুন স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করলে আমার আত্মহত্যা ছারা আর কোন উপায় নেই। এদিকে প্রেমিক অরুন কুমার পলাতক থাকায় কোনরকম যোগাযোগ করা যায় নি।
স্থানীয়রা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,এলাকার কম বেশি সব মানুষই তাদের সম্পর্কের বিষয়ে অবগত আছে। দেবর ভাবি হওয়ায় তাদের তেমন কিছু বলা হতো না।তাদের সম্পর্ক যে এতো গভিরে আমরা জানতাম না।এখন আমাদের গ্রামবাসিদের একটায় দাবি একটা সংসার নস্ট করেছে অরুন এবং তার ভাবি শ্রীমতি সাথী রানীকে বিবাহ করিতে হবে আরো বলেন দুলালের সাথে শ্রীমতি সাথীর আর কোন সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রহুল আমিন বলেন,ঘটনাটি শুনে নি।লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত