কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাড়ির দরজা ভেঙে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনতে যাচ্ছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।
শনিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে ব্যারিস্টার সুমন রাইজিংবিডিকে বলেন, আগামীকাল (রোববার) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মধ্যরাতে এক সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার ঘটনাটি আদালতের সামনে তুলে ধরবো।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘কুড়িগ্রামে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা ক্ষমতার অপব্যবহারের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। কিছু আমলার ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে সরকারের সাফল্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে। ’
তিনি আরো বলেন, আরিফের পরিবারকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দিতে আমি প্রস্তুত আছি।
উল্লেখ্য, ১৩ মার্চ মধ্য রাতে কুড়িগ্রাম ডিসি অফিসের দুই-তিন জন ম্যাজিস্ট্রেট ১৫-১৬ জন আনসার সদস্যকে নিয়ে সাংবাদিক আরিফুলের বাসার দরজা ভেঙে তার বাসায় প্রবেশ করেন। তবে তারা কোনও তল্লাশি অভিযান চালাননি। পরে ডিসি অফিসে নেওয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। আরিফুলকে রাতেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক বছরের সাজা দেওয়া হয়।
জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফুল এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ডিসি।
এছাড়া, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক আরিফ। এ বিষয়ে জানতে পেরে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে তাকে বেশ কয়েকবার ডেকে নিয়ে সতর্ক করা হয়।
সুত্র,রাইজিং বিডি.কম