কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
রৌমারীতে মঙ্গার কামলা দিয়ে বাড়িভিটা উচু করণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আনছার আলী। তিনি চরশৌলমারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
ওই গ্রামের বৃদ্ধ মেহের আলী, আবু বকর সিদ্দিকসহ অনেকে জানান, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আনছার আলীর বাড়ি সুখেরবাতি এলাকায় ছিল। বর্তমানে তিনি সেখান থেকে অন্যত্র বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। তাই মঙ্গার কামলা দিয়ে মাটি কাটছেন। গত প্রায় ১৪ দিন ধরে তিনি ১৫জন মঙ্গার কামলা দিয়ে নিজের বাড়িভিটা উচু করণের কাজ করছেন।
এলাকাবাসী অনেকে জানান, শুধু মঙ্গার কামলা দিয়ে মাটি কাটা নয়; চরশৌলমারী বাজারের পাশে ব্রিজ ও তার বাড়ি পাশে দুটি কালভার্ড ভেঙে সেখান থেকে তিনি অনেক ইট চুরি করে সেগুলো দিয়ে খোয়া তৈরি করেছেন। সেই খোয়া দিয়ে কংক্রিটের খুঁটি বানিয়ে ঘরে লাগাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ তাকে ভয় পায়, তাই মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না। এছাড়াও জমিতন বেগম নামের এক দুস্থ মহিলা বলেন, ভিজিডি’র নাম দিতে ৫ থেকে ৭ হাজার করে টাকা নিচ্ছেন ওই ইউপি সদস্য।
বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্য আনছার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মঙ্গার কামলা দিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি ঠিকই কিন্তু এখন তো মঙ্গার কাজ নেই। তাদেরকে আমি দিনমজুরিতে কাজে নিয়েছি। আর আমার বিরুদ্ধে ব্রিজ ও কালভার্ডের ইট চুরির অভিযোগটি মিথ্যা।