সোমবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সোমবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভালোবাসায় সিক্ত মানবিক চিকিৎসক ডাক্তার মেজবাহুল মোকাররাবীন

মোঃ আব্দুস সালাম- চিরিরবন্দর  দিনাজপুরঃ

মহান সৃষ্টিকর্তার পর অসুস্থ অবস্থায় আমরা যার উপর ভরসা করি তিনিই একজন ডাক্তার। সৃষ্টিকর্তার কৃপা এবং একজন ডাক্তারের উছিলায় রোগী সুস্থতা ফিরে পেতে পারে। কেননা পৃথিবীতে মানবসেবা করার সর্বোৎকৃষ্ট পেশা হলো ডাক্তারি পেশা।  বহু ত্যাগ, শ্রম এবং মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় পর একজন ডাক্তার তৈরি হয়। যার মানবিক ব্যবহারের মধ্যে সত্যিকারের ভালোবাসা ও সততায় মুগ্ধ হতে হয়। তিনি উদার মানবদরদি সামাজিক মানুষ।
বলছি তেমনই একজন মানবিক ও দায়িত্বশীল চিকিৎসকের কথা,
ডাঃ মেজবাহুল মোকাররাবীন (মেজবা), এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (ইউরোলজি), এডভান্সড ট্রেনিং ইন ইউরোলজি (অস্ট্রেলিয়া)। বর্তমানে  ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ এবং রেসিডেন্ট সার্জন হিসেবে ইউরোলজি বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ কর্মরত আছেন।
তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কিডনি, মুত্রনালী, মুত্রাশয়, প্রোস্টেট, পুরুষ বন্ধ্যাত্ব, যৌনতন্ত্রের রোগের চিকিৎসা এবং অপারেশন করে থাকেন।
তার মনের দরজাটা যেমন উদার, খোলামেলা, তেমনি অন্দর-সদর দরজাও উন্মুক্ত সবার আনা গোনায়। তিনি যেন পূর্ণিমার পূর্ণ জোছনার আলোর মতো চিকিৎসা সেবায় আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। একজন  চিকিৎসক  মানুষকে সেবা করার যত বেশি সুযোগ পান, অন্য পেশাজীবীরা তা পান না। তাই চিকিৎসককে আগে ভালো মানুষ হতে হয়। তাহলেই তিনি হতে পারেন আদর্শিক, মানবিক একজন চিকিৎসক।
একজন চিকিৎসকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রোগীকে সম্মান করা। কোনোরূপ তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করা। বন্ধুসুলভ আচরণ করা। একজন চিকিৎসককে স্বভাবতই সৎ, নিঃস্বার্থ, অঙ্গীকারবদ্ধ, দেশপ্রেমিক, দায়িত্বশীল ও দয়ালু হতে হয়। রোগীকে মানবিক মন নিয়ে সেবা করে তার দুঃখ-বেদনা অনুভব করতে পারেন। এমনই একজন সদালাপী, মানবিক চিকিৎসক ডাঃ মেজবাহুল মোকাররাবীন।
তার আন্তরিকতা আর আলাপনেই রোগী অনেকটা নির্ভরতা খুঁজে পান। সুস্থ হয়ে ওঠার মনোবল ফিরে পান। তিনি রোগীকে আপন করে নিতে পারেন। শুধু রোগী নয়, মানুষকে আপন করে নেওয়ার এক অমোঘ শক্তি রয়েছে তার, যা সবাইকে মুগ্ধ করে।
দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার নওখৈর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোঃ মহসিন আলী, মাতা মিসেস মুর্শিদা গুল আক্তারের প্রথম সন্তান। এমবিবিএস সম্পন্ন করার পর ২০১৪ সালে ৩৩ তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন।তিনি চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকেই তিনি ইউরোলজি বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ (এমএস) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পান।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক রোগী জানান,  নিয়মিত তার কাছে আমরা  চিকিৎসা নেই। তিনি খুব ভালো মানুষ এবং একজন মানবিক ডাক্তার । তার সঙ্গে কথা বললেও রোগীর অর্ধেক রোগ সেরে যায়। ডাক্তার মেজবাহুল মোকাররাবীন একজন অসাধারণ মানুষ। খুব নম্র ভদ্র, সদা হাস্যোজ্জ্বল, অমায়িক ব্যবহার ও আন্তরিক মনের মানুষ। তাঁর মতো ডাক্তার এ সমাজে বিরল। ইতিমধ্যে অনেক রোগি তার কাছে কিডনি, মুত্রনালী সহ  ইউরোলজিক্যাল অপারেশন করে সুস্থ হয়েছেন।
এ বিষয়ে ডাঃ মেজবাহুল  মোকাররাবীন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “আমি মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য ডাক্তার হয়েছি। নিঃস্বার্থভাবে সাধারণ মানুষের  সেবা করতে চাই। গরীব রোগীদেরকে সেবা ও সহযোগিতা করি, ভবিষ্যতেও করতে চাই। এতে আমার ভালো লাগে। মানব সেবাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। দুস্থ, এতিম, আর্থিকভাবে অসচ্ছল রোগি যাদের ইউরোলজিকাল অপারেশন প্রয়োজন, তারা আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। আমি সাধ্যের মধ্যে অপারেশন করে দিবো। যতক্ষণ আল্লাহ তৌফিক দিবেন, মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবো, ইনশাআল্লাহ ।

সম্পর্কিত