শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও বাবা-মা’কে হারিয়ে এতিম হয়ে গেল শিশু ইয়াসিন

উত্তরবঙ্গ ডেস্ক : ফরিদপুরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের দিগনগরে বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফরিদপুরের বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহতের নাম পপি বেগম (২৫)। তার বাড়ি আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিদাডাঙ্গা গ্রামে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে দুর্ঘটনায় আহতাবস্থায় পপির স্বামী ইকবাল শেখকে ঢাকায় নেয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় মোট ১৫ জনের মৃত্যু হলো।

দুর্ঘটনার ইকবাল ও পপির সঙ্গে একই পিকআপে ছিল তাদের ১৮ মাস বয়সী শিশুপুত্র ইয়াসিন শেখ। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে সে। ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসার পর তাকে আলফাডাঙ্গার বাড়িতে দাদা-দাদির কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান হাসান জানান, এ ঘটনায় নিহত ইকবালের ছোট ভাই বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামের সাদেক শেখের ছেলে ইমামুল শেখ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় বাসটির অজ্ঞাতনামা চালককে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে নিহতরা ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য একটি পিকঅ্যাপ ভ্যানে রওনা দেন। পথে দিগনগর এলাকায় ফরিদপুর-মাগুরা মহাসড়কে ইউনিক পরিবহন নামের বাসের অজ্ঞাতনামা চালক দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকঅ্যাপ ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাই ইকবাল শেখসহ তিনজন মারা যান। আমি বাসচালকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) মো. আলী সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তদন্তকারী দল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তদন্তকারী দলের সদস্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সালাহউদ্দিন, হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন, বিআরটিএ প্রতিনিধি এমরান খান, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় এক ঘণ্টা সময় ধরে তদন্তকারী দলটি সেখানে অবস্থান করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। পরে তদন্তকারী দলের প্রধান এডিএম মো. আলী সিদ্দিকী বলেন, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা রিপোর্ট দিতে পারবেন বলে আশা করছেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হন।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত