বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বেরোবির আবাসিক হলে চুরি, প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের

ছবি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মুখতার ইলাহী হল।

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শহীদ মুখতার ইলাহী হল থেকে প্রতিনিয়ত সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে। তবে হল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকে।

সম্প্রতি মঙ্গলবার (২১ মে) হলটি থেকে একটি সাইকেল চুরি হয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র সমালোচনার। এতে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিও করছেন কেউ কেউ।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এবি বাদল বলেন, সোমবার রাতে টিউশন শেষে করে সাড়ে ১০টায় শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সাইকেল গ্যারেজে সাইকেলটা রাখি। আর আজকে (বুধবার) দুপুর ১২টার দিকে ডাইনিংয়ে খেতে যাবার সময় দেখি সাইকেলটি নেই। এই হলে প্রতিমাসে এ রকম ঘটনা ঘটেই চলেছে। হলের নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই বারবার এই সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সূত্রে আরও জানা যায়, বিগত কয়েক মাসে শহীদ মুখতার ইলাহী হল থেকে পাঁচটি সাইকেল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব চুরির বিষয়ে ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি হল কর্তৃপক্ষ।

ফলে চুরির বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে ফেসবুকে নিজেদের ব্যক্তিগত ওয়ালে পোস্ট করেছেন পঞ্চাশের অধিক শিক্ষার্থী। এমনই এক পোস্টের বক্তব্য হলো: “মুখতার ইলাহী হল থেকে সাইকেল হারানো যেন এক নিয়ম-নীতির মধ্যে পড়ে গেছে! অন্ততপক্ষে প্রত্যেক মাসে একটি করে সাইকেল হারাচ্ছে। নিয়ম করে বার বার প্রভোস্টকে বলা হলেও লাভ হয়নি একবারও। দরখাস্ত দিয়েও লাভ হয়নি তাহলে এর দায়ভার কে নিবে? আমাদের একটাই দাবি তিন কর্মদিবসের মধ্যে সাইকেল ফেরত দিন, নাহলে প্রভোস্ট মহোদয় আপনি দায়িত্ব ছেড়ে দিন। বারবার মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে হতাশ করবেন না আমাদের।”

চুরির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া আরেক ভুক্তভোগী তৈয়ব আলী ফারুক বলেন, আমার সাইকেল চুরি হওয়ার পরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার একমাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আশ্বাসের মধ্যেই হল প্রশাসন আটকে আছে।

এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বারবার একই ঘটনা ঘটার পরও হল প্রশাসন নির্বিকার হয়ে আছে। বরং হল প্রশাসন বারবার রীতিমতো প্রহসনের আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীদের। আমরা যদি জান-মালের নিরাপত্তা না পাই তাহলে পড়াশোনা করবো কীভাবে? হলে নিরাপত্তার দায়ভার কোনোভাবেই কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।

সার্বিক বিষয় জানতে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট শাহীনুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ নিয়ে আগামী সোমবার হলে সভা হওয়ার কথা আছে। এ সময় ইতিমধ্যেই চুরি এড়াতে হলের নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান।

উবস/আরএ

সম্পর্কিত