সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বেরোবিতে সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ, থমকে দাঁড়িয়েছে কার্যক্রম

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন পদত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে করে আবারও থমকে দাঁড়ালো বিভাগটির কার্যক্রম।

এর আগে দুই মাস বিভাগীয় প্রধান শূন্য থাকায় বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে চলতি মাসের শুরুতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ১১(১১) ধারা অনুযায়ী উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোরশেদকে ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল। তবে গত ১২ মে দায়িত্ব গ্রহণের পর মঙ্গলবার (২১ মে) বিকালে রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

জানা গেছে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম চলতি বছরের ১০ মার্চ বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা-২৮(৩) অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রম অনুযায়ী ‘বিভাগীয় প্রধান’ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার কথা বিভাগের অপর সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের।

কিন্তু তা না করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে ‘আইনগত জটিলতা’ রয়েছে উল্লেখ করে সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নিয়ামুন নাহার উক্ত পদে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানালে দ্বিতীয়বার আইন লঙ্ঘন করে অপর কনিষ্ঠ সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার আহমাদকে নিয়োগ দেয়া হয়, তিনিও যোগদান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এর পর আবারও আইন লঙ্ঘন করে অপর কনিষ্ঠ শিক্ষক ও একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রহমতুল্লাহকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনিও দায়িত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে গত ১০ মার্চ থেকে প্রায় দুই মাস বিভাগীয় প্রধান শূন্য হয়ে ছিল বিভাগটি।

এতে করে বিভাগের সকল কার্যক্রমসহ ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিয়োগের জন্য গত ৫ মে থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। দুই দিন প্রশাসন ভবন অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য এক সপ্তাহের সময় নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ডিনস কমিটির সভা করে নির্বাহী ক্ষমতাবলে গত ১০ মে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেন, যা ১২ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। কিন্তু এক সপ্তাহের পার হতে না হতেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেন। এ বিষয়ে গত দুদিন ধরে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি।

সম্পর্কিত