শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

বেইলি রোডে আগুনে মৃত্যু ৪৫’

নিউজ ডেস্ক:বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে আজকের বেশিরভাগ সংবাদপত্র।

ভয়াবহ আগুনের ছবিসহ কালের কন্ঠের প্রধান শিরোনাম – বেইলি রোডে আগুন মৃত্যু বিভীষিকার রাত। খবরে বলা হয়, ৪৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে এতে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থা ২২ জনের। তাদের অনেকের কণ্ঠনালি পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত অন্তত ২০ জনের চিকিৎসা চলছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। লাশ নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ৯টা ৫১ মিনিটের দিকে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে রাত ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরে আরো চারটি ইউনিট যুক্ত হলে মোট ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রথম আলো লিখেছে – ভয়াবহ আগুনে ৪৩ জন নিহত। তাদের খবরে বলা হচ্ছে গতকাল রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। এতে নানারকম খাবারের দোকান রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সপ্তম তলা ও ছাদে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনতে থাকেন তাঁরা।

ভবনটি যেন এক অগ্নিচুল্লি – কালবেলা বলছে বেইলি রোডের ব্যস্ততম এলাকায় ওই ভবনে ছিল না কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। জরুরি অবস্থায় বের হওয়ারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না।

আগুনে পুড়ে যত না মানুষ মারা গেছে, তার চেয়েও বেশি মারা গেছে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে। তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।
সুত্র, বিবিসি বাংলা

সম্পর্কিত