শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও এখনও ছুটি শেষ হয়নি বেরোবি কর্মকর্তাদের

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শবে কদর, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষসহ সব মিলিয়ে টানা ১৪ দিনের ছুটি শেষে চলতি সপ্তাহের গত মঙ্গলবার অফিস এবং বুধবার থেকে ক্লাস পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এখনও ছুটির আমেজই যেন কাটেনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে।ক্যাম্পাস খোলার দ্বিতীয় দিন সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুপস্থিত। এমনকি কোনো কোনো দপ্তরের দরজায় ঝুলতে দেখা যায় তালাও। পাশাপাশি দীর্ঘ ছুটির পর অফিস খোলা হলেও ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্তাব্যক্তি উপাচার্য, ট্রেজারার এবং রেজিস্ট্রার।

তিন দিন সাপ্তাহিক ছুটি বাদে, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিসের নির্ধারিত সময়। বুধবার বেলা ১২টায় বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দপ্তরে নেই কর্মকর্তা-কর্মচারী। দুপুর ২টার সময়ও একই অবস্থা বরং যারা এসেছিলেন তাদেরও অনেকে অফিস বন্ধ করে চলে গেছেন। একাডেমিক বিল্ডিংগুলোতে দুই একটি বিভাগ বাদে ক্লাস পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি।

উপাচার্যের দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী রবিবার থেকে অফিস করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশিদ। ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে তাঁর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

তবে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন কবে অফিসে আসবেন তা জানা যায়নি।এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর দপ্তর থেকে জানানো হয় তিনি ছুটিতে আছেন। আগামী রবিবার থেকে অফিস করার কথা।

জানা গেছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের অফিস না করাটা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বেরোবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্ধারিত অফিস সময় অনুযায়ী উপস্থিত, অবস্থান ও প্রস্থান করছেন না। যে কারণে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও দাপ্তরিক কাজ পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই অবস্থা চলমান থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রচলিত প্রশাসনিক কার্যবিধি অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিস না করা সংক্রান্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে প্রশাসন এই নির্দেশনা জারি করেছিল।

সম্পর্কিত