মোঃ রোস্তম আলী। রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ করোনা প্রতিরোধে কুড়িগ্রামের উলিপুরে অঘোষিত লকডাউনের মধ্যে প্রতিটি পিছিয়ে পড়া শ্রমজীবি মানুষ ঘরে আবদ্ধ হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে।দু’বেলা দুটো ডাল ভাত জোটে না অনেকের।কাজ করতে যেতে পারে না তাই টাকা নেই। ঘোড়ে না রিকসার চাকা। ভিক্ষা করার জন্য বাইরে যেতেও পারে না ভিক্ষুক।
গত কয়েকদিনে অসহায় মানুষ ঘরের ভেতর অবস্থান করায় চরম বিপাকে পড়ে।তাই কয়েকজন যুবক মিলে স্বেচ্ছায় তাদের বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যত হয়। যেই কথা সেই কাজ। ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী মিলে গড়ে তোলে “যমুনা মানব কল্যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন”।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) “যমুনা মানব কল্যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন” উলিপুরের দূর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা ব্যাপারী পাড়া সরকারী প্রাথমিক মাঠে কয়েকজন দিনমজুরকে দিয়ে শুরু করে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ২ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি লবন, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি মরিচ এবং ১টি সাবান যমুনা মৌজার মোট ১২০ টি পরিবারের মাঝে পৌঁছে দিয়ে আসে।
এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষিত যুব সমাজ। আমরা আজ যদি এদের পাশে না দ্বাড়াই তাহলে পরকালে জবাব দিব কি? সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা আমাদের সাধ্যমত তাদের পাশে দ্বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। সকলের সাহায্য সহযোগীতা পেলে হয়তবা সামনে আরো কিছু করার সুযোগ পাবো এই অবহেলিত মানুষদের জন্য।
তিনি বলেন আমাদের সংগঠনের মূলমন্ত্র হবে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দ্বাড়ানো, ইভটিজিং প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান, ব্লাড গ্রুপিং এবং ডোনেটিং, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান। সর্বপরি সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ।
এ ব্যাপারে দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবেদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই দূর্যোগ কালীন সময়ে যুবকরা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাদের কার্যক্রমকে আমি স্বাগত জানাই এবং এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ