মার্চ ২৩, ২০২৩ ২:৩৪ বিকাল



বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা ঝাপিয়ে পড়েছিলো আমরা তোমাদের ভুলবোনা -ডেপুটি স্পীকার

রিপন মিয়া,ফুলছড়ি প্রতিনিধিঃ

৪ ডিসেম্বর গাইবান্ধার ফুলছড়ি হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ধনারুহা শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পন, শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ।

এদিন তৎকালিন ফুলছড়ি থানা সদর মুক্ত করতে গিয়ে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ৫ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যারা শহীদ হয়েছেন- আফজাল হোসেন, কবেজ আলী, যাহেদুর রহমান বাদল, ওসমান গণী এবং আব্দুল সোবহান। ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ তৎকালিন সাঘাটা উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের খামার ধনারুহা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে সগুনা নাম পরিবর্তন করে মুক্তিনগর ইউনিয়ন রাখা হয়। তাদেরই স্মরণে ধনারুহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিতম্ভ স্থাপন করা হয়।

সেখানে আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আরো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেমহান মুক্তিযুদ্ধে যারা ঝাপিয়ে পড়েছিলো আমরা তোমাদের ভুলবোনা । বাঙ্গালীর হৃদয়ে অনন্তকাল বেচে রবে সকল শীদ প্রান।

সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, তৎকালিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামছুল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মাহমুদুল হক শাহজাদা, ডেপুটি কমান্ডার ওয়াশিকার মো. ইকবাল মাজু, ডেপুটি কমান্ডার গৌতম চন্দ্র মোদক, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামা লীগের সভাপতি নাজমুল হুদা দুদু, নাসিরুল আলম স্বপন প্রমুখ।



Comments are closed.

      আরও নিউজ