শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় স্বর্ণের দোকান থেকে ১২০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় একটি স্বর্ণের দোকান থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১২০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কোনো এক সময় শহরের নিউ মার্কেটের ভেতর তৌফিক জুয়েলার্সে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

তৌফিক জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ১২০ ভরি গয়না চুরি হয়েছে। চুরি হওয়ার গয়নার মূল্যে টাকার অঙ্কে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার মতো হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে দোকান বন্ধ করে আমরা বাড়ি ফিরে যাই। আজ সকালে দোকানের ব্যবস্থাপক জানায় শার্টারের তালা ভাঙা। খবর পেয়ে মালিক সমিতি ও পুলিশের উপস্থিতিতে দোকান খুলে দেখি দুর্বত্তরা সব নিয়ে গেছে।

তৌফিক জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম ধলু বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধের পর আজ সকাল পৌনে ১০ টার দিকে দোকান খুলতে এসে দেখি শার্টার কিছুটা উঠানো ও সবগুলো তালা ভাঙা। দোকান মালিককে মুঠোফোনে জানানোর পর তিনি মার্কেটের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সহযোগিতায় পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে দোকন খোলা হলে দেখা যায় সবগুলো গহনা চুরি হয়েছে। সামনে ও পেছনের র‌্যাকে রাখা ট্রেসহ দুর্বৃত্তরা গহনা নিয়ে গেছে। তবে সিন্দুকে তারা হাত দেয়নি। এতে করে নগদ অর্থ ও কিছু গহনা চুরি যায়নি। দোকানটিতে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা থাকলেও একটিও চালু ছিল না। তবে চুরি হওয়া দোকানটির আশপাশের কাপড় ও গহনার দোকানের বাহিরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে।

বগুড়া সদর থানার উল্টো পাশেই মাত্র ১৫০ গজ দূরে সমির উদ্দীন নিউ মার্কেটে তৌফিক জুয়েলার্সের দুইটি দোকান। এরমধ্যে দুই নম্বর দোকানটিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

তৌফিক জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসনে আরও বলেন, কারও উপরে সন্দেহ না থাকলেও চুরির ঘটনাটি পরিকল্পিত। তারা ভোল্টের কোন ক্ষতি না করে শুধু বাহিরে রাখা গহনা নিয়ে গেছে। দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও রাতে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় সেটি সচল ছিল না।

নিউ মার্কেট ব্যবাসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকার বলেন, মার্কেটের সিকিউরিটি আরও বাড়ানো দরকার। পর্যাপ্ত সিকিউরিটি আমরা দিতে পারি না। দোকান মালিকেরা যদি সিকিউরিটি টাকাটা দিত তাহলে সিকিউরিটি বাড়ানো যেত। আমরা মার্কেটে সকল দোকানদের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথাও বারবার বলেছি। বারবার তাগিদ দিলেও কাজ হয়নি।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় চুরির ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে বলে ধারণা করছি। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে পরিকল্পিতভাবে এখানে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনও কাউকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত