শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় তীব্র গরমে বৃষ্টি প্রত্যাশায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

স্টাফ রিপোর্টারঃসারাদেশের মতো বগুড়ায় তীব্র তাপদাহ চলছে। গরমের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। বৃষ্টি নেই দীর্ঘদিন ধরে। তীব্র গরমে বৃষ্টি প্রত্যাশা করে ‘সালাতুল ইস্তিস্কা’ আদায় করেছেন বগুড়ার গোকুল এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার গোকুল তছলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ নামাজের আয়োজন করেন স্থানীয় মুসল্লিরা।

‘ইস্তিস্কা’ শব্দের অর্থ পানির জন্য প্রার্থনা করা। খরা বা দাবদাহের অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পেতে আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আকুতি ভরে বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে হয়। এই নামাজকে ইস্তিস্কার নামাজ বলে। বগুড়ায় এই নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় গোকুল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের খতিব মাওলানা আমিনুর ইসলাম। নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝরে চোখের জল ছেড়ে মোনাজাত, তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

গোকুল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের খতিব মাওলানা আমিনুর ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এটা যৌক্তিক একটি কারণ। আমরা যে পরিস্থিতেই থাকি না কেন মালিকের কাছে ধর্ণা দেবো তিনি যেন রহমত বর্ষণ করেন। এজন্য আমরা আল্লাহর কাছে দয়া ভিক্ষা চাইছি। রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী আমরা মাঠে এসেছি, আমাদের অপরাধ স্বীকার করলাম। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম, ক্ষমা চাইলাম। আমরা আশা রাখি আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে মাফ করে দিবেন এবং তিনি দয়া করে এ পরিবেশকে আবার সুন্দর করে দিবেন।’

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী তিনদিন তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। দেশব্যপী বৃষ্টির সম্ভাবনাও ক্ষীণ। বড়সড় পরিসরে ঝড়-বৃষ্টি না হলে এমন অবস্থার পরিবর্তন হবে না। এমন অসহনীয় গরমে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু বাড়ছে।

উল্লেখ্য যে, বুধবার জেলায় সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সম্পর্কিত