কামরুজ্জামান সম্পদ: মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে রংপুর সদর উপজেলার নজিরনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার প্রধান আসামির বালা কৈগাড়ী এলাকার জিন্না মন্ডলের ছেলে আব্দুল ওয়াহাব (৩৭)। তিনি ইউনুস হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি৷
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকাল পৌণে ৬ টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন।
মামলার বরাদ দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, মুরগীর খামারী ইউনুস আলীর বড় ছেলে আবু শাহীন মানসিক রোগী। গত ২০ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে আবু শাহীন তাদের প্রতিবেশী আব্দুল ওয়াহাবের স্ত্রীকে রাস্তাকে হাত ধরে সরিয়ে দেয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলতি মাসের গত শনিবার (২২ জুন) বিকাল তিনটার দিকে শাহীনকে একা পেয়ে আব্দুল ওয়াহাব এলোপাতাড়ি মারধর করে৷ পরে সন্ধ্যার দিকে শাহীনের ছোট ভাই গোলাম রসুল তার ভাইকে মারধর করার কারণ জিজ্ঞাসা করতে গেলে আব্দুল ওয়াহাব অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে আব্দুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে তার ভাই ও আত্মীয়স্বজনেতরা মিলিত হয়ে গোলাম রসুলকে মারধর করে। এসময় ইউনুস আলী রসুলকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গেলে তারা তাকেও মারধর করেন এবং ইউনুস আলীকে ড্রেনের মধ্যে মাথা চুুুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এর আগে এই হত্যা মামলার আরও দুইজন আসামি মনির মন্ডল ও আহসান মন্ডল কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইউনুস আলী হত্যাকাণ্ডে বগুড়া সদর থানায় আব্দুল ওয়াহাবকে প্রধান আসামি করে ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রধান আসামি আব্দুল ওয়াহাবকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।