রিপন মিয়া,ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সারাদেশের ন্যায় বিশেষ সর্তকতা জারি করা হলেও ফুলছড়ি সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মানছে না সেই সর্তকতা।উপজেলার বাজার
গুলোতে প্রয়োজন ছাড়া ঘোরাফেরা করছে এলাকার মানুষ।দোকানপাটের সামনে দূরত্ব বজায় রাখার আদেশ জারি থাকলেও ক্রেতাগণ মানছেন না সেই দূরত্ব।সরকারি,এনজিও সহ বিভিন্ন ভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে সচেতন করার চেষ্টা করলেও সচেতন হচ্ছে না এলাকার সাধারণ মানুষ গুলো এবং বিক্রেতাগণ। নির্দিষ্টভাবে ঔষধ,কাঁচাবাজার ও মুদির দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া থাকলেও প্রায় সব দোকানের সামনে সাধারণ মানুষের ভিড় এবং সাপ্তাহিক হাট-বাজার সামান্য পরিসরে খোলা থাকার কথা থাকলেও মানছেন না বিক্রেতারা।শুক্রবারে অনেক বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজার গুলোতে মানুষের গাদাগাদি।তারা একসঙ্গে বাজার করছেন এবং গল্প করতেছেন।
সরকার যানবহন ৪ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন থাকার ঘোষণা থাকলেও আজ দেখা গেছে ভিন্ন পরিবর্তন।সকাল থেকেই রাস্তা গুলোতে দেখা গেছে কিছু অটো চলাচল করতে।
এ ব্যাপারে এলাকার কিছু সচেতন মহলের মানুষের সাথে কথা বললে তারা বিভিন্ন ধরনের আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।তারা বলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার,স্হানীয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী আমাদের জন্যই এত বিপদের মধ্যেও কাজ করছেন।কিন্তু কিছু মানুষ তা মানতেছেন না।তারা আরও বলেছেন উপজেলা প্রশাসন তাদের সবটুকু শক্তি দিয়েই সেষ্টা করতেছেন,তাদের দায়িত্ব পালনে কোন ঘাটতি নেই।তারা বলেন আমরা সবাই যদি সচেতন হই তাহলেই আমরা এ বিপদ থেকে মুক্তি পেতে পারি।বর্তমান প্রেক্ষাপটে করোনা ভাইরাস এর সংক্রামন রোধে সচেতনতায় অংশ হিসেবে বিদেশ ফেরত এবং ঢাকা থেকে আগত নাগরিকদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য ১৪ দিন নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য বিশেষ ভাবে বলেন তারা।
ফুলছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার,থানা পুলিশ,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সেনাবাহিনী প্রতিদিনই ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করতেছেন এবং সবাইকে সর্তক করেতেছেন।