মোঃ নুরুল ইসলাম, বালিয়াকান্দি , (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি:হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুমন ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ফুটবলের মাধ্যমে মাদক থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে কাজ করছি। আসলে রাজনীতি না করলে এ কাজ করতে পারতাম না।
শুক্রবার বিকেলে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বিএনবিএস আয়োজিত প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণের পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেন, ফাইট নিয়ে আমি আগাচ্ছি, একদিকে আমার ফুটবল এটা হচ্ছে আমি ইয়াং জেনারেশনকে সামনের দিকে নিয়ে আসতে চাই। আমি একজন মেম্বার অব পার্লামেন্ট, আজ ৩৯ ডিগ্রি চলছে, হাপ প্যান্ড পড়ে রাজবাড়ীতে আসার কথা নয়। এ গরমের মধ্যে এসেছি, আইনজীবি হিসেবে গেলে ফি দিতো, ফুটবল খেলতে এসেছি, কেউ কোন ফি দিবে না। কোন না কোন ভাবে ফুটলকে ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ। কারণ যুব সমাজ কোন না কোন ভাবে মাদকের সাথে জড়িত। ফুটবল ফিরে আসলে ইয়াং জেনারেশনকে মাদক থেকে দুরে রাখা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি। দু’টি উপজেলার জন্য এমপি হয়েছি। আর এ কারণেই সারা দেশে ফুটবলকে পুর্ণজীবিত করার সুযোগ পাচ্ছি। রাজনীতির মাধ্যমে ভালো কাজ করা সম্ভব। আমি এমপি হওয়ার পর ১৫টি ব্রীজ বানিয়েছি, যা বরাদ্দ পাই তা ওপেন করেছি। টিআর কাবিখা যা পাইছি সবই ওপেন করে দিয়েছি। আমার মতো কোন এমপি ওপেন করেনি। শুধু মানুষের কাছে শুনেছি রাস্তার কাজের টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, একটি শাড়ী নাকি আমার বন্ধুর বউ পেয়েছে, তারা শাড়ীকে রিজেক্ট করেছে। আসলে আমিকি সব শাড়ী নিজ হাতে দিয়েছি। আবার কোন অসচ্ছল লোককে দিতেই পারি।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ভালো কাজে বাঁধা আসবেই, সেই রকম আমার ভালো কাজের বাঁধা আসছে। যদি ভাগ বাটোয়ারা করে দিতাম তাহলে কোন সমস্যা ছিল না। সেই কারণেই বিরোধিতা। তিনি ফুটবলকে এগিয়ে নিতে কাজ করবেন।
এসময় নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বিএনবিএস ফুটবল টুর্ণামেন্টের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ ও ব্যারিস্টার সুমন একাডেমির মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কয়েক হাজার দর্শকের সমাগম ঘটে। খেলায় ব্যারিস্টার ফুটবল একাডেমী, ১ ও মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ ২ গোল করে।