শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ১৩

উত্তরবঙ্গ ডেস্ক: ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে আরও ছয়জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে আটটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদরের দিগনগর তেঁতুলতলা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে গেলে বাসটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় দ্রুতগতিতে আসা পিকআপ ভ্যানটি বাসটির মাঝামাঝি এসে আঘাত করলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর দমকল বাহিনীর জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, সকাল ৭টা ৫৩ মিনিটে তাঁরা খবর পেয়ে ৮টা ৩ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান পিকআপের তিন যাত্রী মৃত অবস্থায় সড়কের ওপর পড়ে আছে। পিকআপের ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ফরিদপুর থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পিকআপ ভ্যানটি যাত্রী পরিবহণ করছিল। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ১১ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দুইজন মারা যান। দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন আছেন। তাঁরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামের রফিক মোল্লা (৩৫), তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩)। রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ ছাড়া নিহত আরেকজনের নাম মর্জিনা বেগম বলে জানা গেছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আরও ৫ লাখ এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৩ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত