বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

প্রকৃতির লীলাভূমি বালিগ্রাম

আব্দর রাজ্জাক শাওন
স্টাফ রির্পোটার (সিলেট জেলা):

সিলেটের জকিগঞ্জে বালিগ্রাম প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য লীলাভূমি। বালিগ্রামে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের সবুজ সুফলা শ্যসভূমি। বিশাল এলাকা সমতলভূমি আছে, চাষের জন্য খুবই উপযোগী ভূমি। যে কোনো বীজ রোপণ করলেই চারা গজায় সময়ে অসময়ে। এলাকার বেশিরভাগ মানুষের প্রধান কাজ হলো কৃষি। কৃষিকাজ করে জীবন ধারণ করে। ভূমির মাটি যেমন নরম তুলতুলে তেমনি ঐ এলাকার মানুষের মন। প্রকৃতির বিশালতা দেখে মানুষরা তেমনি বিশাল মনে অধিকারী হয়ে থাকে। একধিকে নদী অন্য ধিকে মাঠ। চাষের কাজের নেই কোনো শেষ। ভুরের সূর্য উঠার আগে মানুষ মাঠে কাজ করার জন্য চলে যায়। বিকেলে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় সবাই নীড়ে ফিরে। শান্তিপ্রিয় মানুষ গুলা সবাই এক সাথে কাজ করে, খেলা করে। মাঠে নতুন ফসল ফলানো মাত্রই কৃষকরা অপেক্ষার প্রহর গুনে, তাদের আশার আলো ফুটে যখন মাঠে সবুজ সোনালী ফসল ফলে। সোনালী ফসল দেখে কৃষকদের মনে আনন্দের জুয়ার উঠে।

যখন রাখাল ছেলেরা মাঠে গরু চরায় তখন তারা প্রকৃতির অপরূপ দেখে মনের সুখে গানগায়। সেখানে নেই কোনো বাঁধা নেই কোনো অভিযোগ। সবাই গলা ছেড়ে গানগায় ও আনন্দ করে। নদীর পাশে বসে অনেকে কবিতা ও গল্প লিখে।

শীতকালে প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর্য নস্ট হয়ে যায় বৃষ্টি অভাবে কিন্তু বালিগ্রামের সুন্দর্য নস্ট হয় না নদী থাকার জন্য। বর্ষাকালে নদীর ভরা যৌবন থাকে তখন মানুষ পানির শ্রুতে ভেসে ভেড়ায় আনন্দে আবার কখনো দুই চোখে পানি আশে বন্যার ভয়ে। অনেকে আনন্দ করার জন্য নদীতে নৌকা বাইচ খেলা করে।

শীতকালে যখন বাজারে নতুন সবজি আশে, তখন ঐ এলাকার মানুষরা বাজার থেকে ক্রয় করে সবজি খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। তারা তাদের চাষের সতেজ সবজি শিম,মুলা,আলু, মিষ্টি আলু,মরিচ,ফরাশ ইত্যাদি খায়।

সম্পর্কিত