শুক্রবার, ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

পীরগাছায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে স্কুল বন্ধ করে চলে গেলেন শিক্ষকগণ

রংপুরের পীরগাছায় ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে স্কুল বন্ধ করে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের রামচন্দ্র মৌজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিবার থেকে সারাদেশে একযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল ছিল চারু ও কারু কলা বিষয়ের পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ও বেলা দেড়টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ছিল চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা। কিন্তু রামচন্দ্র মৌজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বিকালের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। শিক্ষকরা সকালের পরীক্ষা শেষে স্কুল বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। এদিকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসে স্কুল তালাবদ্ধ দেখে কাঁন্নায় ভেঙে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বেবি খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন না। মাঝে মাঝে আসলেও চেয়ারে বসে বসে ঘুমান। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হলেও কোন মিটিংয়ে আমাদের ডাকা হয়না। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য আমরা অভিভাবক সমাবেশ করতে চাইলেও তিনি উদ্যোগ নিচ্ছেন না। উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কাজ না করেই তিনি আত্মসাৎ করে আসছেন।
অভিভাবক মনির মিয়া বলেন, স্কুল একটার মধ্যে বন্ধ করে চলে গেছে শিক্ষকরা। কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসে স্কুল তালাবদ্ধ দেখে কাঁন্নাকাটি করে ফিরে গেছেন।
রামচন্দ্র গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, স্কুলটিতে আর আগের মতো পড়াশুনার মান নেই। শিক্ষকরা নিজ খেয়াল খুশি মতো আসেন আর যান। ফলে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, আমি পরীক্ষার্থীদের আগে ডেকে পরীক্ষা নিয়েছি। আমার উপজেলা অফিসে গত বছরের বিল আটকে থাকায় আগেই চলে এসেছি।
উপজেলা সহাকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুজ্জামান জনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনছি। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি দিতে পারে না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত রুটিনের বাইরে কোন কাজ করতে পারবে না। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে বিষয়টির খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত