দিনাজপুর সংবাদাতাঃ
গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলের পশ্চিমজোনের পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান, পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তাহের মো. শামসুজ্জামানসহ রেলের কর্মকর্তারা। আইনশৃংখলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব ও আরএনবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। অভিযানে ৪টি বুলডোজার ব্যবহার করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান আবারো শুরু হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ দিকে উচ্ছেদের খবর শুনে গত মঙ্গলবার রাতে বাস টার্মিনাল এলাকায় রেলভূমিতে বসবাসকারী রোকুনুজ্জামান বাবলু নামের এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বদানকারী রেলের পশ্চিমজোনের পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান জানান পার্বতীপুরে রেলের প্রায় ১২৬ একর জমি চলে গেছে দখলদারদের হাতে। এসব জমিতে গড়ে উঠেছে প্রায় ৪ হাজার অবৈধ স্থাপনা। অনেকেই রেলের জমি কৃষি হিসেবে লিজ নিয়ে তা বিক্রি করে কোটি টাকার মালিক হয়েছে। বিক্রি করা কৃষি জমিতে এখন গড়ে উঠেছে বসতবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অনেকেই লিজের শর্ত ভেঙ্গে বহুতল পাকাবাড়ী নির্মাণ করেছে। সরকার যে কোন মূল্যে এবার রেলের জমি উদ্ধার করবে।
গতকাল এক হাজার স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারে মধ্যে উচ্ছেদ শেষ না হলে আবারো নতুন তারিখ নির্ধারণ করে উচ্ছেদ কাজ চালানো হবে।
তিনি বলেন রেলের জমি উদ্ধারের পর যেসব জমি রেলের প্রয়োজনে আসবে না তা প্লট আকারে দরপত্র আহবান করা করে লিজ প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন শহরের দোকান ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে মার্কেট কারা হবে। এতে রেল উপকৃত হবে।