আজ ২৬ জানুয়ারি রোববার সকাল সোয়া ১১টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢালারচর টু রাজশাহী রুটের এক্সপ্রেসসহ ৪টি রুটের যথাক্রমে ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা (ভায়া বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব) রুটে এক জোড়া নতুন ট্রেন, উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক নতুন কোচ দ্বারা প্রতিস্থাপন, এবং ফরিদপুর এক্সপ্রেস ১, ২, ৩, ৪ ট্রেনের রুট ফরিদপুর হতে ভাঙ্গা পর্যন্ত বর্ধিতকরণ ও রাজবাড়ী এক্সপ্রেস নামে চলাচল উদ্বোধন করেন। মাঝগ্রাম থেকে শুরু করে ঢালার চর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের ফলে পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর স্থানীয়ভাবে ঢালারচর স্টেশনে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ করেন পাবনা-২ এর সংসদ সদস্য জনাব ফিরোজ কবীর। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেড়া উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাদের, বেড়া পৌরসভার মেয়র আব্দুল বাতেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আজ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা শুরু হলো। এর আগে পাবনা এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি পাবনা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত চলাচল করত। বর্ধিত রেললাইন চালু হওয়ার ফলে পাবনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ করা যায়। বিশেষকরে প্রথম ট্রেনের স্বাক্ষী হবার জন্য ঢালারচর থেকে পাবনা পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে অনেকে দল বেধে উপস্থিত হয়। এছাড়া রাস্তার পাশে কৌতূহলী লোকজনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢালারচর থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। ব্যাপক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে পুরো অনুষ্ঠানটি উৎসবের আমেজে পরিণত হয়।
উল্লেখ্য মাঝগ্রাম থেকে ঢালারচর পর্যন্ত বর্ধিতকরণ ৭৮ কিলোমিটার ট্রেন রাস্তায় ৭টি স্টেশন, ৯ টি মেজর ব্রিজ, ৮০ টি মাইনর ব্রিজ ও ৬০ টি লেভেল ক্রসিং গেট রয়েছে। এটি নির্মাণে ১৭৩৭ কোটি টাকার অধিক ব্যয় হয়েছে।