শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

পান চাষে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন বালিয়াকান্দির উল্লাসী দাস

মোঃ নুরুল ইসলাম, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি ঃরাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের আবাদি উঁচু জমিতে, বাড়ির পাশে ও বাড়ির আঙিনায় পান চাষ  করে থাকে মৃলত চাষীরা এ অঞ্চলটি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পান চাষের উপযোগী এরই মধ্যে পানের বরজ করে চাষিরা সাফল্য পেয়েছেন। তাই পান চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সনৎ দাসের স্ত্রী উল্লাসী দাস,বরজ থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন তারা

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালিয়াকান্দিতে এখন বাণিজ্যিকভাবে পান চাষ হচ্ছে ফলন ও ভালো  লাভজনক হওয়ায় পানের বরজে ঘেরা এই ইউনিয়ন। উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ৮১৪টি বরজ রয়েছে মিষ্টি পান চাষের বরজ রয়েছে ৫৫৮টি, ঝাল পান ১৫৬টি,  ধান, গম, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় পান চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি। তাই উপজেলার কৃষকদের পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তারা পান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

তরুণ উদ্যোক্তা শোভন দাস জানান,আমি জন্ম থেকে দেখে আসছি আমার বাবা ঠাকুরদা এই পান চাষ করছে আমি আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে চাই  পানের ফলন ভালো হওয়ায় তাদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন বাণিজ্যিকভাবে পান চাষ করেন তারা।

সম্পদ দাস বলেন, ‘আমি বাবার পৈতৃক সূত্রে   দীর্ঘদিন পানের বরজ করে আসছি আমার কাছ থেকে এলাকার অনেকেই পানের বরজের কাজ শিখছে। আমার মতো এলাকার অনেকেই এখন পানের বরজের কাজ করে সুন্দরভাবে সংসার চালাচ্ছে।

সনৎ দাস জানান, আমার তিন বিঘার ওপর একটা পানের বরজ আছে, তার বয়স প্রায় ৬ বছর হবে। বর্তমানে প্রতি বিড়া পান আকার ভেদে বড় পানের এক বিড়ার (৮০টি পান) দাম ১১০ থেকে ২৪০ টাকা, মাঝারির দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও ছোট পানের বিড়ার দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা

বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন ,রাজবাড়ী জেলার মধ্যে বালিয়াকান্দি উপজেলা পান চাষে বিখ্যাত ৮৫ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয় এখান থেকে বছরে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা কৃষকের লাভ হচ্ছে  উপজেলাতে পান চাষিদের কয়েকটি প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। যে কারণে এই এলাকায় পান চাষ ভালো হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এখানে পান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও রপ্তানি হচ্ছে।তাই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে পান চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত