রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানে বজ্রপাত ও প্রবল বর্ষণে ৩৯ জনের প্রাণহানি

বিশ্ব ডেস্ক: পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বজ্রপাত ও প্রবল বর্ষণে গত কয়েকদিনে অন্তত ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটিতে এখন গম কাটার মৌসুম থাকায় মাঠে গম কাটাকালীন বেশ কয়েকজন কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাজ্যাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলছে, প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বানে দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং সড়ক যোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের যে কয়টি দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান তার একটি। ২০২২ সালেও দেশটির এক-তৃতীয়াংশ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হওয়া ওই বন্যায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন আরও কয়েক হাজার। এ ছাড়াও বন্যায় ঘরবাড়ি, আবাদি জমি ডুবে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় লাখ লাখ মানুষ। পাশাপাশি বন্যার কারণে কয়েক মাস ধরে সেখানে বিশুদ্ধ পানির অভাবও দেখা দিয়েছিল দেশটিতে।

পাকিস্তানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আগামী আরও কয়েক দিন এ ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে। ভারি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস এবং বানও দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতিমধ্যেই গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে বজ্রপাতেই ২১ জন নিহত হয়েছেন। বেলুচিস্তান প্রদেশেও আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার। সোম ও মঙ্গলবার প্রদেশে সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বেলুচিস্তানের উপকূলবর্তী শহর পাসনির বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। পৌর কর্মকর্তা নূর আহমেদ কালমাতি বলেন, পাসনিকে দেখে মনে হচ্ছে সেটি বিশাল বড় একটি হ্রদ। বানে শহরের আবাসিক ও প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা ডুবে গেছে। পাকিস্তানের প্রতিবেশী আফগানিস্তানেও ভারি বর্ষণ হচ্ছে। সেখানে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সম্পর্কিত