জুন ১০, ২০২৩ ১২:১৭ সকাল



পরিচয় গোপন রেখে প্রেম-শারীরিক সম্পর্ক, প্রতারণার স্বীকারে লতার মৃত্যু

মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
রিপন ইসলাম। বয়স ২৬ বছর। তিনি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকি ইউনিয়নের আগ্রা গ্রামের শাহ্পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে। তিনি ছদ্মনাম বিপ্লব রায় রেখে লতা রায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর কয়েকদিন পর হতে দু’জনেই জড়িয়ে পরে শারীরিক সম্পর্কে। ঘটনার দু’মাস পর লতা রায় গত ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রমিকের টানে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর তার আসল পরিচয় জানতে পেরে চক্ষুলজ্জার ভয়ে বাড়ির পার্শ্বে লিচু গাছে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্বহত্যা করেন সদ্য এসএসসি পাশ ছাত্রী লতা রায়।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের জোয়ার গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।

খানসামা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লাশ উদ্ধারের পর থেকে জব্দকৃত আলামত মোবাইল ফোনের বার্তা আদান প্রদান ও কথোপকথনের সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার অফিসার ইনচার্জ শেখ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই তন্ময় বিশ্বাস ও এসআই সাইদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লতা রায়ের আত্বহত্যার প্ররোচণাকারী ভন্ড প্রেমিক রিপন ইসলামকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। আটকের পর রিপন ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিচয় গোপন রেখে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই সন্তানের জনক রিপন ইসলাম। তিনি নাম পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক করে থাকেন। এ ঘটনার পরেও তিনি একাধিক জনের সাথে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

এ বিষয়ে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কামাল হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধারের পর থেকেই বিষয়টি উদঘাটনে কাজ করে লতা রায়ের আত্বহত্যার মূল প্ররোচণাকারী রিপন ইসলামকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও এর সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



Comments are closed.

      আরও নিউজ