নিজস্ব প্রতিবেদকঃপবিত্র লাইলাতুল বারাআত (শবে বরাত) উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুর এর কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমান সহকারী মোঃ গোলাম রব্বানী তার বাণীতে বলেছেন, শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে লাইলাতুল বারাআত (শবে বরাত) বলা হয়। শবে বরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ তাৎপর্যময় রজনী। এ রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা তার রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন।
পাপী বান্দাদের উদারচিত্তে ক্ষমা করেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন- এ জন্য এ রাতকে শবে বরাত বলা হয়।
ফার্সিতে ‘শব’ মানে রাত আর ‘বরাত’ মানে মুক্তি। সুতরাং ‘শবে বরাত’ এর অর্থ হলো মুক্তির রাত।
শবে বরাতে কুরআন হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হয়। কেননা এই রাতের মাধ্যমেই আমরা সব বির্তকের অবসান ঘটিয়ে একটি সুন্দর সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।
রাসূল (স) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা মধ্য শা’বানের রাতে সমস্ত সৃষ্টির দিকে বিশেষ নজর দেন ও মুশরিক (আল্লাহর সাথে শিরককারী) এবং মুশাহিন (হিংসুক) ব্যতীতসকলকে ক্ষমা করে দেন।
এই হাদিসের আলোকে করণীয় এই যে, আমরা আমাদের জীবনের প্রতিটি দিনই হিংসা ও আল্লাহর সাথে শিরক করা থেকে বেঁচে থাকবো। যদি এ রাতে আমি ঘুমিয়েও থাকি তবে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।
এই রাতে নিজস্ব পরিসরে নফল নামাজ আদায় করা, কুরআন তেলাওয়াত করা ও তাসবিহ তাহলিল করা যেতে পারে। এবং এ রাতে কোনো ইবাদত করলে তা নফল হিসেবেই গণ্য হবে। আর নফল সালাত বা ইবাদত ঘরেই করা বেশি ভালো।
তবে অবশ্যই কিছু সময় ঘুমাতে হবে যেন ফজরের নামাজ জামায়াতে আদায় করা যায়। যদি ঘুমের কারণে নামাজ বাদ পড়ে যায় তবে তা রাত্রের ইবাদতের অর্জনকে ম্লান করে।
মূলত সবচেয়ে সেরা রাত হলো রমজান মাসের শেষের ১০ রাত। শবে বরাতকে যেন আমরা সেই সমস্ত রাত থেকে বেশি মর্যাদাপূর্ণ রাত না ভাবি সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ইসলাম স্বীকৃত নয়, এমন প্রত্যেকটি কাজ সম্পর্কে সচেতন হওয়া ও তা বর্জন করা প্রয়োজন।
শিরক থেকে নিজেকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা। পাশাপাশি হিংসা-বিদ্বেষ থেকে নিজেকে পুরোপুরি মুক্ত রাখা।
সর্বপরি আমাদের সারা বছর শিরক ও হিংসা থেকে বাঁচতে রাতে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করার অভ্যাস করাটাই হবে এই রাতের আসল উদ্দেশ্য ও অর্জন। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।