রাজবাড়ী প্রতিনিধি ঃমানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে রজনীগন্ধা ফেরি ডুবিতে নিখোঁজ সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবিরের সন্ধান আজও মেলেনি। তার পরিবারে চলছে আহাজারি। পরিবার সংশ্লিষ্টদের কাজের গাফলতি রয়েছে দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি শুরু করেন।
হুমায়ুনের মেয়ে কামরুন্নাহার জানান, তার বাবা গত মঙ্গলবার রাতে বলেছিল- তাদের সবাইকে শীতের নতুন পোশাক কিনে দেবেন। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি তার বাবা। তার কিছু হলে পরিবার কীভাবে চলবে তা বুঝতে পারছে না।
হুমায়ুনের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম শাওন বলেন,‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ট্রলার নিয়ে ঘাটে গিয়ে ভাইকে খুঁজেছি। কয়েকটি ট্রাক উদ্ধার করা হলেও তার ভাইয়ের কোনো খোঁজ মেলেনি।’
এসময় পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত নিখোঁজের সন্ধান চেয়ে আহাজারি করেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. মনসুর আলী জানান, হুমায়ুন ভালো মানুষ ছিলেন। তাকে মসজিদের সভাপতি করেছিলো বাসিন্দারা।
ফেরি রজনীগন্ধার স্টাফদের বরাত দিয়ে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরিটি নদীতে নোঙর করে ছিল। ফেরিতে সাতটি ছোট ও বড় দুটি ট্রাক ছিল। বুধবার সকাল ৮টার পর ফেরিটি ডুবে যেতে থাকে। এ সময় যানবাহনের চালক, সহকারী এবং ফেরিতে কর্মরত লোকজন দ্রুত নদীতে ঝাঁপ দেন।