পঞ্চগড় প্রতিনিধি: সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে মেডিকেল কলেজে ২০২৩ -২৪ শিক্ষা বর্ষে ১৭ জন চান্সপ্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীকে নিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে পরিবেশ বন্ধু।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল চারটায় জেলা নজরুল ইসলাম পাঠাগারে মোজারুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, তোমাদের একাগ্রতা ও মেধা কাজে লাগাতে হবে। এমবিবিএস মানে হলো প্রাথমিক পর্যায়। এরপরে তোমাদের আরও বড় বড় ডিগ্রী নিতে হবে। এখানে তোমাদের টাইম মেশিনের মত মানি মেশিনে পরিণত হলে জীবনে অনেক কিছু করতে পারবে, কিন্তু হৃদয় মনকে কিছুই দিতে সক্ষম হবে না। আমি যে একজন ডাক্তার তার স্বাক্ষর রাখতে হবে। নিজ জেলা ও মানুষের কথা ভুলে গেলে হবে না। তাদের জন্য কাজ করতে হবে। মানবিক মানুষ হতে হবে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মোজারুল হক বলেন, তোমরা যারা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছো— তোমাদের লেগে থাকতে হবে। মানবিক, কৃতজ্ঞ, দেশ প্রেমিক , পিতা ও মাতা বৃদ্ধা শ্রমে না যায় সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে নয়ন তানভীরুল বারি এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এস. আই এম রাজিউল করিম। তিনি বলেন, আমরা যা কিছুই হই না কেন, মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে। মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে, ভালো কিছু করতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর পঞ্চগড় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. মো: মনসুর আলম বলেন, পঞ্চগড় জেলা দেশের প্রান্তিক জেলা। তোমাদের পাড়ি দিতে হবে অনেক দূর যা চ্যালেঞ্জের। দেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর হলেও অপ্রাপ্তি অনেক কিছু এখান থেকে এগিয়ে যেতে হবে, সেখানে তোমাদের অবদান রাখতে হবে।
এ সময় ডা. মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তোমাদের এই জার্নি সহজ নয়। পাড়ি দিতে অনেক পথ। এর জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। ডা. আফরোজা বেগম বলেন এলাকার মানুষের কথা যেন ভুলে আমরা না যাই সেই বিষয়টা আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। তোমাদের যেকোনো সমস্যায় আমাদের কাছে আসতে পারো সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
দৈনিক দেশ রুপান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, তোমাদের মাঝে অবশ্যই দেশপ্রেম, কৃতজ্ঞতাবোধ, মনুষ্যত্ববোধ থাকতে হবে। তাহলে প্রকৃত অর্থে মানুষ হতে পারব।
সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সায়েম বলেন তোমাদের দক্ষতা অর্জনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে বিশেষ করে ইংরেজি ও আরবি ভাষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে, যার মধ্য দিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।ভারতের মেডিকেল শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষা অর্জন করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে অথচ আমরা মুসলমান এ ভাষা শিখার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের কল্যানে কাজ করতে হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. আমীর হোসেন (সিনিয়র কনসাল্টেন্ট- সার্জারী), শহিদুল ইসলাম (পঞ্চগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মানিক) (মিয়া চা মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক) প্রমুখ।