শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

নিয়োগ পরীক্ষায় আবারও উপেক্ষিত নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পদে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আবারও উপেক্ষিত হয়েছেন নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বল্পনা রানী। তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ভালো ফলাফল করায় প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) বেরোবির অর্থনীতি বিভাগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। কিন্তু যথাযথভাবে আবেদন করলেও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বল্পনা রানীকে নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো চিঠি, প্রবেশপত্র, ইমেইল বা বার্তা পাঠানো হয়নি। অভিযোগ রয়েছে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে সুযোগ না দিতে কৌশলে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্বল্পনা রানী বেরোবি অর্থনীতি বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি স্নাতকে ৩.৭৫ ও স্নাতকোত্তরে ৩.৭৮ সিজিপিএ অর্জন করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তিনি আবেদনপত্র জমা দেন।

এ বিষয়ে স্বল্পনা রানী বলেন, আমি বেরোবির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগের জন্য আমি যথাযথভাবে আবেদন করেছি। এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে সেভাবে প্রস্তুতও করেছিলাম। কিন্তু আমাকে এ পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো রকম চিঠিপত্র বা মেইল করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরীর কাছে নিয়োগ পরীক্ষায় নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে না ডাকার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি দরকারি কাজে চট্টগ্রামে আছেন এবং এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান।

প্রসঙ্গত, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ বিভাগে ভালো ফলাফল করলেও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে চান না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ না দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন তাঁরা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দেড় দশকেও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র দুজন শিক্ষার্থী নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগেও নিজ বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবেদা আক্তারকে একই কৌশলে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দিয়েও তিনি কোনো সুফল পাননি।

তবে নিয়োগ পরীক্ষায় নিজ যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই যে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি করেছে।

সম্পর্কিত