স্টাফ রিপোর্টারঃ
সদ্ব্য শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনে নাটোর সদর উপজেলার নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান এর কাপ-পিরিচ মার্কা সমর্থক রুবেল কে তুলে নিয়ে মারপিটে করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থী জামিলুর রহমান মিলন ও তার গাড়িচালক বাশার এর উপর।
অভিযোগ পেয়ে তালতলা হাফরাস্তা মিলনের চেম্বার থেকে বাশার কে আটক করে ডিবি ও সদর থানা পুলিশ। এই ঘটনায় মিলন কে প্রধান আসামী করে ১২ জনের নাম উল্লেখ পুর্বক সদর থানায় মামলা করছেন রুবেল ইসলাম গাজীর পিতা আলম গাজী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় যে, নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাপ-পিরিচ মার্কায় সমর্থন করতেন তালতলা হাফরাস্তা এলাকার আলম গাজীর ছেলে রুবেল ইসলাম গাজী (৩২)। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরাজিত প্রার্থী মিলনের গাড়িচালক ও তার সমর্থকরা রুবেল করে বাড়ি থেকে তুলে এনে মারপিট করে আহত করে। এতে করে রুবেলের মাথা- পা ও হাতে গুরুতর জখম করা হয়। খবর পেয়ে ডিবি ও নাটোর সদর থানা পুলিশ ঘটনা স্থান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেলকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এই সময় ঘটনা স্থান থেকে প্রথমে বাশারকে ও রাতে অভিযান চালিয়ে মিলন কে গ্রেফতার করে নাটোর সদর থানায় নেওয়া হয়। পরে শুক্রবার দুপুরে ওই মামলা আদালতে নেওয়া হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত জামিলুর রহমান মিলনের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনের পরে দুপুর ৩ টার দিকে মিলন বলেন- বৃহস্পতিবার রাতে হাবুর মোর থেকে পন্ডিতগ্রামে যাওয়ার পথে কতিপয় সন্ত্রাসী তার কর্মী রাশেদ কে পিটিয়ে আহত করে। পরে তার বাড়িতে গিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি ধামকি ও দেয়। এই ঘটনায় তার কর্মীরা প্রতিবাদ করে এবং রুবেল আহত হয়। এই বিষয়ে- তিনিও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, মিলনকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগি রুবেলের পিতা আলম গাজী । সেই মামলায় মিলন ও তার গাড়ী চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের অভিজান অব্যাহত আছে।