নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জাককানইবিসাস) স্মরণিকা ‘আমরা টুটাব তিমির রাত’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এর মোড়ক উন্মোচন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি রাশেদুজ্জামান রনি, সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি ফাহাদ বিন সাঈদসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্মরণিকাটির মোড়ক উন্মোচনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, যেকোনো বিষয়ের ইমেজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ ইমেজ সংকট যদি কোনোকিছুর মধ্যে থাকে, তাহলে তার অগ্রগতি অসম্ভব৷ ইমেজ সংকট যেন না থাকে সেটির জন্য নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে অতি সম্প্রতি যে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে সেটি হলো এবারের অমর একুশে বইমেলায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি স্টল বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। সেখানে আমাদের নানা ধরণের প্রকাশনা থাকবে, গবেষণাগ্রন্থগুলো থাকবে। আজ সাংবাদিক সমিতির স্মরণিকা প্রকাশিত হল, এটি খুবই আনন্দের একটি ব্যাপার।সাংবাদিকদের কাজ লেখালেখি করা, সমাজের অসংগতিগুলো তুলে ধরা। সে কাজগুলো তারা যথাযথভাবে করছে। তার পাশাপাশি নিজেরাও যে সাংবাদিকতাকে সাহিত্যের মর্যাদায় নিয়ে যাচ্ছে তার উৎকৃষ্ট নিদর্শন এই ‘আমরা টুটাব তিমির রাত’ সংকলন। এই ছোট ছোট উদ্যোগগুলো আমাদের ইমেজ সংকটকে দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্মরণিকাটির সহ-সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, স্মরণিকাটি সাংবাদিকতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে সহযোগিতা করবে। এটিতে দেশবরেণ্য লেখক ও সাংবাদিকদের পাশাপাশি তরূণ ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের লেখাও স্থান পেয়েছে। এটি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ৩য় প্রকাশনা। আগামীতেও স্মরণিকা প্রকাশের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি। যাদের পরিশ্রম ও লেখনিতে স্মরণিকাটি সুসজ্জিত হয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
স্মরণিকাটির সম্পাদক আহসান হাবীব বলেন, আজকের দিনটি সমিতির জন্য একটি স্মরণীয় দিন। বিগত আট বছর ধরে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সংগঠনটি স্বমহিমায় তার অবস্থান জানান দিয়েছে ক্যাম্পাসে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই স্মরণিকা প্রকাশ। এতে জাতীয় পর্যায়ের নানা ব্যক্তিবর্গ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের লেখা স্থান পেয়েছে। আশা করছি, পাঠকরা এই প্রকাশনা থেকে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবে।
উল্লেখ্য, স্মরণিকাটির নামকরণ করেছেন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রণসংগীত ‘চল চল চল’- এর একটি পঙক্তি থেকে এই নামটি নেয়া হয়েছে। স্মরণিকাটির সহ-সম্পাদক হিসেবে ছিলেন সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান ও দপ্তর সম্পাদক আলমগীর হোসেন। স্মরণিকাটির প্রচ্ছদ অলংকরণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ্য মাসুম হাওলাদার। স্মরণিকাটিতে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী কে এ খালিদ, ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার সহ আরো অনেকে। পাশাপাশি এতে লিখেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত রাশেদ আহমেদ আলীসহ আরো অনেকে।