ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ:
নওগাঁ সীমান্তে ভারত থেকে গরু পারাপারের করিডোরে বৈধতার ছাড়পত্র প্রদানে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ও অতিষ্ট।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার সীমান্ত এলাকা নিতপুরে করিডোরের মাধ্যমে ভারত থেকে চোরায় পথে ব্যাপকহারে গরু আনা হচ্ছে। রাতে এ পথ দিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক গরু আসে বলে জানান গরু ব্যবসায়ীরা। গরু ব্যবসায়ীরা আরো জানান, তারা শুধু পেটের দায়ে, ঝুঁকি নিয়ে এ ব্যবসা করেন। এখানে ব্যবসা করে তেমন লাভ করতে পারেন না বলে জানান তারা। তাদের থেকে লাভবান হচ্ছেন করিডোরের দায়িত্বে থাকা কিছু অসাধু ব্যক্তি। জোরজুলুম করে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে সর্বস্বান্ত করছেন ব্যবসায়ীদের। সরকার র্নিধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা করিডোরে নেয়ার কারণে তারা তেমন লাভ করতে পারেন না বলে গরু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারত থেকে গরু আনেন এমন কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, যেখানে সরকারিভাবে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রতি জোড়া গরুতে ১ হাজার টাকা। যে ক্যাশ মেমোটি দেয় তাতেও জোড়াপ্রতি গরুর মূল্য ১ হাজার টাকার কথা উল্লেখ থাকলেও করিডোরের লোকজন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রতি জোড়া গরুতে ফি নেয় ১০ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, আমরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি, বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে থাকি। তা না হলে আমাদের এখানে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয় করিডোর কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত টাকা দেয়ার কারণে আমরা ব্যবসায়িকভাবে চরম লোকসানের মুখে পড়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিতপুর করিডোরের দায়িত্বে থাকা মোঃ শফিক প্রতি জোড়া গরু ১০ হাজার টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, আমরা জোড়া প্রতি ২ হাজার ৮শ টাকা আদায় করছি। এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, আমরা কি করবো? গরুর রাখাল, বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের মোটর সাইকেল তেল ইত্যাদি খরচ বাবদ আমরা এই অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকি।
নিতপুর সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার জানান, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা তার জানা নেই। তবে প্রতি জোড়া (২ পিস) গরুর মেমোতে ১ হাজার টাকার কথা উল্লেখ থাকে বলে তিনি জানান। তাছাড়া বিজিবি ক্যাম্প কোনো টাকা নেয় না, বা কোনো দুর্নীতি করে না বলেও তিনি জানান।