শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

দিনাজপুরে বাজার গরম নতুন আলুর!


এ.রাশিদ, দিনাজপুর
দিনাজপুরের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। সোমবার(২০নভেম্বর) সকালে দিনাজপুরের , বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ বাজারে নতুন আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে এই দামে ।যা গত বছর এ আলু ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

সমবার(২০নভেম্বর) বিকেলে বিরামপুর উপজেলার কাটলা এলাকার চাষিরা আগাম জাতের আলু তুলে এনে বিরামপুরের বিভিন্ন বাজারে পাইকারি বিক্রি করেন।

মোকাররম নামে এক চাষি জানান, দেশী জাতের নতুন আলু ২০০ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে। বছরের নতুন সবজি ও নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে আলুর দাম বেশি বলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
বিরামপুরে রেলবাজারে ২০ কেজি ও বাহাদুর বাজারে ৫০ কেজির মত আলু আসে। যা সকালে বিক্রি হয়ে গেছে। তবে আলুগুলো এখনো ভালোভাবে পরিপক্ক হয়নি।
তিনি বলেন, ৫০ কেজি আলু বাহাদুর বাজারে এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীর কাছে ১২০ টাকা পাইকাড়ি কেজি দরে বিক্রি করি। বাকি আলু পরিপক্ক ও বড় হলে তুলবেন। নতুন দামে তিনি অনেক খুশি।

এ বিষয়ে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোসাদ্দেক বলেন, ২০ কেজি আলু ১২০ টাকা দরে কিনে ১৪০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে আগাম জাতের নতুন আলু পাওয়া যাবে।

বিরামপুর বাজারে আসা মো: শাফিউল ইসলাম বলেন, দেখলাম বাজারে নতুন আলু উঠছে। কেজি ১৪০ টাকা। সকালে নাকি ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এভাবে এতো দামে আলু কিনতে হলে সংসার চালানোয় দায় হবে। তিনি বলেন দাম বেশি হওয়ার কারনে আধা কেজি আলু কিনেছি।

আলু বিক্রেতা তৌহিদুল বলেন ১০ কেজি আলু বিক্রির জন্য এসেছি। ফুলবাড়ি থেকে ১৩০ টাকা কেজি কিনে ২০০ টাকায় বিক্রি করছি। কেউ ১০০ গ্রাম, কেউ ২০০ গ্রাম করেও কিনছেন দাম বেশি হওয়ার কারনে।

সচেতন সমাজ মনে করেন এভাবে আলুর দাম বাড়লে না খেয়ে থাকতে হবে অনেক মানুষকে। কারন যাদের কিছু কেনার মতো সামথ্য নাই তারা আলু কিনে তাদের দৈনন্দিন খাবারের চাহিদা মেটাতো। তবে তারা মনে করেন খুব দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত