আব্দুর রাজ্জাক শাওনঃসিলেটে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তিন দফা বন্যায় শুক্রবার (৫ জুলাই) পর্যন্ত জেলায় আনুমানিক সাড়ে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার কারণে ভোগান্তির শেষ নাই মানুষের। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থার তীব্র সংকট, এতে পানিবাহিত রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। সুরমা-কুশিয়ারার পানি কোথাও এক সেন্টিমিন্টার কমলেও অন্য পয়েন্টে বাড়ছে।
সিলেটের জকিগঞ্জ গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাটসহ সীমান্তবর্তী আরো কয়েকটির উপজেলা বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জে পানি বেড়েছে। তবে সিলেটের উত্তর-পূর্ব উপজেলা জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ডাইক ভেঙে প্রবল স্রোতে পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পৌর এলাকার নরসিংহপুরসহ কয়েকটি এলাকায় ডাইক ভেঙে ও ডাইক উপচে নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে প্রায় ৮৫টি গ্রামের লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের লোকজনের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বন্যাকবলিত এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ গোরস্থানসহ গ্রামীণ রাস্তাঘাট এবং শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কের একটি অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। চলমান পরিস্থিতিতে রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, পানিবাহিত রোগবালাই ও গবাদিপশুর খাবার সংকটে চরম দুর্ভোগে বানভাসীরা।
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার স্থানিয় কয়েক জন জানিয়েছেন তাদের রাস্তাঘাট ও জনজীবন বিপর্যয় অবস্থায় আছে বন্যার জন্য।