সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এলাকার ছাত্র- যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছেন কাজল। সংক্রমণ এই ভাইরাস এড়াতে তাহিরপুরের উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের বাজারগুলোতে সবাইকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হতে আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।
করোনা আতঙ্কে বাংলাদেশসহ কাঁপছে পুরো বিশ্ব। ছিন্নমূল মানুষের এই দুর্বিসহ অবস্থা যে শুধু বড় শহরগুলোতে, তা নয়। এই চিত্র গ্রাম গঞ্জেও। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিজ নিজ বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের মধ্যে এসব সচেতনতার কোনো বালাই নেই। জন সমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশানা থাকলেও এর উল্টো জীবন যাপন করছে মানুষ। জরুরী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দোকানপাট খোলার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দোকানপাট খুলছে তাল মিলিয়ে। খুলছে গ্রামের ছোট টং দোকান। সেখানে মানুষের ভিড় সব সময় লেগেই রয়েছে। এমন দৃশ্য এখন উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারেই দেখা যাচ্ছে।
এসব দোকানদার ও ক্রেতাদের সচেতন করতে প্রতিদিনই বাজারে বাজারে গিয়ে কথা বলছেন কাজল। ‘সরকারের নির্দেশনা মানি করোনা ভাইরাসের থেকে বাঁচি’ এই স্লোগান মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের নতুন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানের সামনে সামাজিত দূরত্ব বজায় রাখতে বৃত্ত এঁকেছেন তিনি। ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিটি সাদা রঙের বৃত্ত এঁকেছেন।
এসময় কাজল বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা সবাই এখন গ্রামের বাড়িতেই রয়েছেন। তারা সবাই যদি নিজ নিজ গ্রামের মানুষকে সচেতন করেন তাহলে করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ সচেতন হবে। এর ধারাবাহিকতায় আমরা সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছি। এর আগে লিফলেট, মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেছি আমরা।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বাবর আলী, রায়হান মিয়া, মানিক, জাহাঙ্গীর আলম, গফপার মিয়া প্রমুখ।