সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সারা দেশের ন্যায় দোকান-পাট বন্ধ। খোলা হচ্ছেনা হোটেল-রেস্তোরাও, তৈরী হচ্ছে না খাবার। তাই খাবারও মিলছে না হাট-বাজারে ঘুরে বেড়ানো ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীনদের। এসব মানসিক ভারসাম্যহীনদের অনেকের ঠিকানা আছে, আবার অনেকের নেই।
বিষয়টি যখন কারো নজরে আসেনি, নজরে আসে তাহিরপুর ইউএনওর। শনিবার সকালে বাজারে-বাজারে ঘুরে বেড়ানো মানসিক ভারসাম্যহীনদের একবেলা খাবারের দায়িত্ব নিয়ে তাদের মুখে খাবার তুলে দেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই তিনি ত্রান নিয়ে যাচ্ছেন কোন না কোন অনাহারী-অর্ধাহারী মানুষের কাছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মানুষকে প্রতিনিয়ত সচেতন করছেন। বাজারে-বাজারে ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতনতার প্রচার-প্রচারণার সময় মানসিক ভারসাম্যহীনদের না খাওয়ার বিষয়টি তার নজরে আসলে এমন মহৎ উদ্যোগ গ্রহন করেন তিনি। শনিবার সকালে তাহিরপুর সদর বাজারে ঘুরে বেড়ানো মানসিক ভারসাম্যহীনদের মুখে তিনি খাবার তোলে দেন। গাড়িতে খাবার নিয়ে যে বাজারেই মানসিক ভারসাম্যহীন কাউকে চোখে পড়ে তার হাতে খাবার ধরিয়ে দেন। খাবার পেয়ে মহাখুশি হয় অবুঝ এই মানুষগুলো । তাহিরপুর সদর বাজারে ব্যাবসায়ী সমীরণ রায় জানান, বিষয়টি আমরা লক্ষ্যই করিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী যে কাজ টি করছেন তা অত্যন্ত মহৎ।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী বলেন, করোনা প্রতিরোধে হাট-বাজারের হোটেলগুলো বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ঘুরে বেড়ানো মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষগুলো বাজারেই রয়ে গেছে। এ অবস্থায় তো কেউ তাদের খাবার দিতে আসবেনা। তাই আমার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে তাদের জন্য সামান্য একটু খাবারের ব্যবস্থা করছি। তিনি বলেন, বর্তমান সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উপজেলার প্রতিটি বাজারের মানসিক ভারসাম্যহীনদের অনন্ত একবেলা খাবার মুখে তুলে দেয়ার চেষ্টা করবেন। বিত্তবানদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি