শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আঃলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ

স্টাফ রিপোর্টার,মোঃ শাহিন আলম:সিরাজগঞ্জ জেলার
তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন, যুব সমাজের আইকন, কারা নির্যাতিত, সাবেক ছাত্রনেতা,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ তাড়াশ উপজেলা শাখার বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ স্বপ্ন দেখেন ও দেখান। সেই স্বপ্ন ব্যাস্তবায়ন করতে ভালোবাসেন। এবং স্বপ্নকে বাস্তবেও রুপ দিতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সাহসী,ত্যাগী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ট প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল, গরীব দুঃখী অসহায় মেহনতি মানুষের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ।ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ এর ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবন থেকে জানা যায়,পিতা মরহুম জামাল উদ্দীন তাড়াশ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক মন্ডলীর বিভিন্ন সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ ১৯৯২- ১৯৯৩ শিক্ষাবর্ষে তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে জিএস ।১৯৯৭-১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে ভোটের মাধ্যমে তাড়াশ ডিগ্রী ছাত্র সংসদের ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক। ১৯৯৮-৯৯ সালে তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির যুগ্ন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন।২০০৪ সাল থেকে ১০১৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব পালন করেন।২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ভাড়াশ উপজেলা শাখার সম্মেলনে সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের উপস্থিতিতে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর দলকে ধীরে ধীরে সুসংগঠিত করতে থাকেন এবং তার ফলশ্রুতিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ তাড়াশ উপজেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা- কর্মীগণ ২৮ জন মেম্বার এবং তাড়াশ পৌরসভায় ৪ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।সর্বপরি ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এবং বাংলার জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য ग আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে আমি তাে সামনের কাতারে অংশগ্রহণ করে আন্দোলন করেছি। তার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৬ সালের গ্রহনমূলক নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে আমি রাবার বুলেটে আঘাতপ্রাপ্ত হই। এছাড়া ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ভোট ডাকাতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে ১৩টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। অপারেশন ক্লিনহার্টে সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার করে ইলেকট্রিক শক এবং গরম পানির ইনজেকশন দিয়ে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে। আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বারবার কারাবরণও করতে হয়েছে।২০১৪ সালে তাড়াশ উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান পদে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ যুবদলের সাধারণ সম্পাদককে – বিপুল ভোটে পরাজিত করে অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে মেয়াদ পূর্ণ করেন। ভাইস চেয়ারম্যান থাকা কালীন সময়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শ্মশানের মুলক কাজ করেছেন।তিনি তাড়াশ দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি ,দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য,কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।মনোনয়নের বিষয়ে সাংবাদিকদের ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতি করার অপরাধে অনেকবার মামলা-হামলারশিকার হয়েছি। একাধিকবার কারা ভোগ ও করেছি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমি ও আমার পরিবারের সবাই আস্থাশীল। তাই আমি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আসন্ন তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। আশাকরি প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন একজন কর্মী হিসেবে আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করে তাড়াশ উপজেলাবাসীর সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত