আব্দুর রাজ্জাক শাওনঃগীষ্মকাল শেষে শীতকাল শুরুতর আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে আবহাওয়া সময় সময় আরো বেশি শীতল হচ্ছে। এরপরও তাপমাত্রা নামার সাথে সাথেই সিলেটে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগির হার। ফলে সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালের ইনডোর-আউটডোরে বেড়েছে রোগীর চাপ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন হাসপাতালে আগত অধিকাংশ রোগী ঠাণ্ডাজনিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট বিভাগজুড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, প্রতিদিন সরকারি ও বেসরকারি হাপতালে রোগীদের ভিড় করে দেখা যাচ্ছে। তবে বেশিরে ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গত কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় নাজেহাল মানুষজন। দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দূভাব।
ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রচণ্ড তীব্রতার কাছে সবাই যেন পরাস্ত। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে সূর্য। দুপুরের দিকে কিছুটা দেখা গেলেও হিমেল বাতাসের কাছে ম্লান হয়ে যাচ্ছে সূর্যের তাপমাত্রা।
শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে হাওর ও চা বাগান অধ্যুষিত সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডাজনিত রোগের কারণে প্রতিটি জেলার সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতালের বেডে রোগীদের জায়গা না থাকায় মেঝেতে হচ্ছে রোগীর ঠাঁই।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, একটি বেডে ৩ থেকে ৪ জন শিশুকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য মেডিসিন ওয়ার্ডে দেখা গেছে আক্রান্তের অধিকাংশই বয়স্ক। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান, হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স। বিশেষ করে বয়স্ক রোগীরা শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসমানী হাসপাতালের মতো পরিস্থিতি নগরীর বেসরকারী হাসপাতালগুলোতেও। সেখানেও ইনডোর-আউটডোর রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে প্রতিবছর এমন সময়ে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। তবে এবার শীত নামার সাথে সাথেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এটা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।