আল ফয়সাল অনিক, ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁওয়ে এক বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন পড়াশোনা করছেন। একসাথে একই বিদ্যালয়ে এত যমজ ভাই-বোন পড়াশোনার বিষয়টি আলোড়ন ফেলেছে পুরো জেলাজুড়ে। জেলার এই বিদ্যালয়টির নাম “মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুল”। এই বিদ্যালয়ে এক সাথে বিভিন্ন শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন ২০ জন যমজ ভাই-বোন। বিদ্যালয়টির ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে সান-মুন ও তাহসিন-তাসনিম, ৭ম শ্রেণীতে পড়ে কার্তিক-গণেশ, সুমাইয়া-সাদিয়া ও হাবিব-হাফিজ,৮ম শ্রেণিতে শুভ-সৌরভ, ৯ম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং ১০ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন আবিদ-অমিত ও রাহুল রাহা-চঞ্চল রাহা যমজ ভাই বোন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের যমজ ভাই-বোনদের চেহারায় রয়েছে মিল। বিদ্যালয়ে একসাথে এতগুলো যমজ শিক্ষার্থী পেয়ে আনন্দিত শিক্ষক ও সহপাঠীরা। অন্য দিকে একসাথে বেড়ে উঠা ও একসাথে একই বিদ্যালয়ের একই শ্রেণীতে পড়ার বিষয় টা গর্বের সাথে দেখছেন যমজ উক্ত ভাই-বোনেরা।
ষষ্ঠ শ্রেণীর যমজ দুই ভাই সান ও মুন বলে, আমরা দুই ভাই একসাথে খাওয়া, খেলাধুলা ও স্কুলে আসা যাওয়া করি। বাড়িতে দুজনে একসাথে পড়তে বসি।
সপ্তম শ্রেণীর যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া বলে, আমাদের সবকাজগুলো আমরা একসাথে করি। একসাথে স্কুলে আসি এবং একসাথে ক্লাসে বসি। কেউ আমাদের একজনকে বকা দিলে আমাদের অপরজনকে খুব খারাপ লাগে।
নবম শ্রেণির যমজ দুই বোন হাসি ও খুশি বলে, আমরা যমজ হয়ে অনেক খুশি। পড়াশোনা করার সময় আমরা একজন আরেকজনের সহযোগিতা নেই। এছাড়াও পরিবার আত্নীয় স্বজন ও শিক্ষকদের কাছেও আমরা অনেক আদর পাই।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশিদ মামুন জানান, আমাদের প্রত্যেকটি শ্রেণীতে যমজ শিক্ষার্থী আছে। সকলে খুব মেধাবী। কার নাম কোনটা তা বুঝতে মাঝে মাঝে হিমসিম খেতে হয় আমাদের। কেননা তাদের একজনের সঙ্গে আরেক জনের চেহারা অনেক মিল রয়েছে। আমরা আশা করছি তারা সকলে তাদের কর্মজীবনে ভালো কিছু করবেন।
মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন পড়াশোনা করছে। তাদের নাম গুলো এবং চেহারার মিলও রয়েছে প্রায়। তারা উভয়ে অনেক মেধাবী। আমাদের বিদ্যালয়ে একসাথে এতগুলো জমজ শিক্ষার্থী পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত।