শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ঠাকুরগাঁওয়ে ঢুসমারা যুব সমাজের সংগঠনের উদ্যোগে অসহায়দের ইফতারের আয়োজন

আহসান হাবিব স্টাফ রিপোর্টার,২৫ মার্চ সোমবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা খোঁচাবাড়ি নাগেশ্বর বাড়ী মিয়ার উদ্দীন দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ঢুসমারা যুব সমাজের সংগঠনের উদ্যোগে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য  ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।খোঁচাবাড়ি ঢুসমারা সেচ্ছাসেবী সংগঠন ঢুসমারা যুব সমাজের ও নূরানী মাদ্রাসা উদ্যোগে ইফতারের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় ।

জানা যায়, ১ম রমজান থেকে খোঁচাবাড়ি ঢুসমারা নূরানী মাদ্রাসা মাঠে প্রতিদিন সেচ্ছাসেবী সংগঠন ঢুসমারা যুব সমাজের সংগঠনের উদ্যোগে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য উন্মুক্তভাবে ৭০০-৮০০ মানুষের ইফতারের আয়োজন করেছে। প্রতিদিনে ইফতারের সময়ের ঢুসমারা বাজার রাখালদিবি রোডে প্রায় প্রতিদিন অসহায়, দিনমজুর, রিক্সা-ভ্যান চালক ও পথচারী মানুষকে ইফতার বিতরণ করে সংগঠনের নেত্রীবৃন্দরা। এছাড়াও পাড়া মহল্লায় তারা এ ইফতার বিতরণ করেন।” ঢুসমারা যুব সমাজের সংগঠনের ” নেত্রীবৃন্দরা এছাড়াও কারো রক্তের প্রয়োজন হলে কেউ তার সমস্যার কথা জানালে তাকেও করা হয় সহায়তা।

রমজান মাস সংযমের মাস, আত্মশুদ্ধির মাস। রমজানকে ঘিরে সমাজে নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সারাদিন রোজা রাখার পর গরিব অসহায় মানুষের সাথে ইফতার ভাগাভাগি করার ব্যাপারটা আসলে অত্যন্ত ভাগ্যের এবং সাওয়াবের কাজ। এ সকল মানবতা এবং সহযোগিতা মূলক কাজে সংগঠনের নেত্রীবৃন্দরা এ ছাত্রাবস্থা থেকে যদি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করে তাহলে ধীরে-ধীরে তা সমাজের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে পড়বে বলে বিশ্বাস করি। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে চাওয়া থেকে তাদের এই ৭০০ থেকে ৮০০ অসহায় মানুষের ইফতার আয়োজন।

যুব সমাজের সংগঠনের রোমান ইসলাম বলেন, অসহায়দের প্রতি সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করে বিপুল সওয়াব লাভের সর্বোত্তম সময় রমজান। অনেক গরিব-দুঃখী মানুষ আছেন, যারা সাহরি ও ইফতারে সামান্য খাবারও জোগাড় করতে হিমশিম খান। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানে তাদের দুঃখটা খানিক বেড়ে যায়। এ ধরনের মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি কর্তব্য। সেই জন্য আমাদের সংগঠন থেকে আমাদের সংগঠনের উপদেষ্টাসহ সংগঠনের নেত্রীবৃন্দের সহযোগিতায় আমরা প্রতিদিন সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু রোজাদার ব্যক্তির মাঝে ইফতার বিতরণ করি। আমার এ উদ্যোগ নেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের সংগঠনের শিক্ষাজীবন থেকে যেন মানবিক কাজগুলো করতে আরও আগ্রহী ও উৎসাহিত হয়।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত