নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের নাম উল্লেখ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার রাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীর পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন তার মামাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম।
মামলার আসামীরা হলেন, দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল, দেওপাড়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি ও প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজের ল্যাব-সহকারি রিজওয়ান, দেওপাড়া ইউপি ১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রতন আলী, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও গোদাগাড়ী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সালমান ফিরোজ ফয়সাল এবং রাজাবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশিদ বাবু। এছাড়াও এই মামলায় আরো ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসন্ন দাদ্বশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে ”ট্রাক“ মার্কা প্রতীকের প্রার্থী শারমিন আক্তার
নিপা মাহিয়া এলাকায় ব্যাপক প্রচারনা চালাচ্ছেন। তার নির্বাচনী প্রচারনার সুবিধার্থে তার নির্বাচনী এলাকারাজশাহী-১ আসনে “ট্রাক” মার্কা প্রতীকের একাধিক নির্বাচনী অফিস রয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর রো্ববার রাত অনুমান সোয়া ২ টার দিকে গোদাগাড়ী থানাধীন ভাগাইল সেলিম মার্কেটে “ট্রাক”
মার্কা প্রতীকের প্রার্থী শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া’র অনুমোদিত নির্বাচনী অফিসে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থলে এসে অগ্নি সংযোগ করে “ট্রাক” মার্কা প্রতীকের পোস্টারসহ নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
লোকজন যাতে নির্বাচনী প্রচারনা না করে এবং নির্বাচনের দিন যাতে “ট্রাক” মার্কা প্রতীকে ভোটারা ভোট দিতে না যায় এই বলে আসামীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, এর পূর্বেও গত ২৯ ডিসেম্বর রাত ৯ টার দিকে পালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া’র প্রচারনাকালে আসামীরা আমাদেরকে নির্বাচনী প্রচারে বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে আসামীদের সাথে আমাদের লোকজনদের সাথে কথাকাটিকাটি হয়। তখন আসামীগণ ফোন করে আরো অজ্ঞাতনামা লোকজনদেরকে ঘটনাস্থলে আসতে বলে। অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
পরবর্তীতে আসামীরা ও অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীগণ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার হুমকি প্রদান করে। আসামীগণ এও বলে যে, ঘটনাস্থল ত্যাগ না করিলে আমাদের লোকজনদের হাত পা বাইরাইয়া ভেঙ্গে ফেলবে। তখন “ট্রাক” মার্কা প্রতীকের প্রার্থী শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাত গোদাগাড়ী থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে আসামীগণ আমাদেরকে এই মর্মে হুমকি প্রদান করেন যে, আমাদের লোকজন যাতে নির্বাচনী প্রচারনা না করে এবং
নির্বাচনের দিন যাতে করে “ট্রাক” মার্কা প্রতীকে ভোটাররা ভোট দিতে না যায় বলে চলে যায়।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে আসামীরা ৩১ ডিসেম্বর রাতে ভাগাইল সেলিম মার্কেটে “ট্রাক” মার্কা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করিয়া অগ্নি সংযোগ করে।
এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভয়ভীতি প্রদানের বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৬৮। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন এবং আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হবে।