রাবি প্রতিনিধি:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরিবহন মার্কেটে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলেও মেলেনি প্রতিকার। সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি দুটি দোকানের হুক কেটে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না দিতে পারায় এমনটি ঘটছে বলে অভিযোগ দোকানিদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে পরিবহণ মার্কেটের ২৪ নম্বর দোকান ‘হুমায়ুন টেলিকম’ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, মোবাইল রিচার্জ কার্ড ও চারটি ফোন চুরি হয়। ঠিক এর পাশের ২৩ নম্বর দোকান ‘শাকিক কম্পিউটার-২’ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে ওঙ্কার বইয়ের দোকানের সামনে থেকে একটি বড় লোহার টেবিল এবং চা বিক্রেতা এনামুলের দোকানের কয়েকটি বেঞ্চ চুরি হয়। গত ১৭ জানুয়ারি রাতে সুন্দরবন কুরিয়ার দোকানের টিন খুলে ভেতরে প্রবেশ করে ৪ হাজার টাকাসহ কিছু মালামাল চুরি হয়। ১০ জানুয়ারি চারু আড্ডা ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে একটি টেবিল, এনামুলের চায়ের দোকান থেকে দুটি বেঞ্চ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গিফট কর্নার থেকে একটি ছোট টেবিল চুরি হয়।
এভাবে একের পর এক চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেন দোকানিরা। প্রতিকার না পেয়ে এবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ‘হুমায়ুন টেলিকম’র মালিক হুমায়ুন কবির ও ‘শাকিক কম্পিউটার’র মালিক মোশাররফ হোসেন।
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। সকাল ১০টায় ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি আমার দোকানের তালা লাগানোর হুক বা বালা সবকটি কাটা অবস্থায় আছে। খরব শুনে এসে দেখি, দোকানে রেখে যাওয়া প্রায় দেড় লাখ টাকা, রিচার্জ কার্ড এবং রিচার্জে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে।’
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘২ তারিখ সকালে খবর শুনে ছুটে এসে দেখি আমার দোকানের তালা লাগানোর হুক বা বালা সব কাটা অবস্থায় আছে। দোকান থেকে আনুমানিক ৩০ হাজার টাকার চুরি হয়েছে।
এ বিষয়ে রাবি পরিবহন ও টিনশেড মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহিদ বলেন, ‘এভাবে প্রতিনিয়ত চুরি হওয়ায় আমরা আতঙ্কিত। আমরা এ বিষয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়াও থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করেছি। এটা দ্রুতই প্রতিকার হওয়া দরকার। আমরা চাই, দ্রুত চোরকে শক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরে আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। আমরা দোকানিদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নিরাপত্তা কর্মী রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চুরির ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করতে আমরা চেষ্টা করছি।’